‘দাও ফিরে সে অরণ্য’

বিডি নিউজ ২৪ সৌমিত জয়দ্বীপ প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৩, ১৪:১২

রোমান্টিকতার বশবর্তী হয়ে নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিশ্চয়ই হিসাবনিকাশ করেই কথাটা বলেছিলেন। শুধু বলেনইনি, বড় এক প্রশ্নচিহ্ন এঁটে দিয়েছিলেন এই ‘সভ্যতার প্রতি’। নির্ঝরের যে গান তিনি মহাসাগরের দূরবর্তী ধ্বনিতেও শুনতে পেয়েছিলেন, তা এক অলঙ্ঘনীয় দ্যোতনা তৈরি করে। দ্যোতনা সৃষ্টিকারী সেই পথ পাড়ি দেয়ার হিমালয়সম উচ্চতা নিয়ে ঠাকুর জন্মেছিলেন। ফলে, যান্ত্রিক এ ‘নবসভ্যতা’র প্রতি এক ‘অপরূপ অনাস্থা’ ছিল তাঁর।


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো জানতেন, আলবত জানতেন, উন্নয়নের নামে যা আমাদের গেলানো হয়, তার ভেতরকার 'শুভঙ্করের ফাঁকি'টির ভালোবাসার ডাকনাম 'সভ্যতা'। এও তো তিনি বরং আরও অধিক জানতেন যে, পৃথিবীতে সভ্যতার ইতিহাস মূলত প্রকৃতিদত্ত জঙ্গল ধ্বংসেরই ইতিহাস। ফলতঃ ঠাকুরকে বলতে হয়, 'দাও ফিরে সে অরণ্য'।


২.
রবীন্দ্রনাথ যখন বড় হচ্ছেন কলকাতার বুকে, ততদিনে কলকাতা ভারতবর্ষের আধুনিকতম মহানগরীতে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী হয়েছে। গোবিন্দপুর, সুতানুটি ও কলিকাতা নামক তিনটি গ্রামকে একত্রে জুড়ে নির্মিত হয়েছে শহর। কুঠির সাহেব জব চার্নকের হাতে। মানে, গ্রামই খোদ মহানগরে 'উন্নীত' হয়েছে। এমনিই এমনিই হয়নি। গ্রামের জল ও জঙ্গল উল্টেপাল্টেই হয়েছে, গঙ্গার (হুগলি) তীরে।

এহেন কলকাতার পিঠ চাপড়ে দিয়ে 'গোরা' উপন্যাসের একদম প্রারম্ভে রবীন্দ্রনাথ বিদ্রুপাত্মক ভঙ্গিতে লিখেছেন: ‘… এত বড়ো এই-যে কাজের শহর কঠিন হৃদয় কলিকাতা, ইহার শত শত রাস্তা এবং গলির ভিতরে সোনার আলোকের ধারা আজ যেন একটা অপূর্ব যৌবনের প্রবাহ বহিয়া লইয়া চলিতেছে।’ (‘গোরা’ — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)


কঠিন হৃদয় বটে! কৌতুক হলো— কাজের শহর বানাতে গিয়ে বন বা জঙ্গল ধ্বংস করে আমরা ‘সভ্য’ সমাজে এলাকার নাম রেখেছি বনানী। এই ফাঁকিটা যতটা না শুভঙ্করের, তার চেয়েও বেশি আদতেই কৌতুকের! লেখা বাহুল্য, অভিধানেও সংযুক্ত আছে, বনানীর আরেকটি অর্থ ‘ঢাকার আবাসিক অঞ্চল’। কলকাতা থেকে ঢাকায় মুখ ফেরাবার পালা আমাদের। এই যে ঢাকার কথা আমরা বলছি, তার বুকে বন-বনানীর দেখা মেলা ভার। দেখা মেলা ভার জলাধারেরও। তাহলে এতো এতো জল ও জঙ্গল গেল কোথায়!


এক গবেষণায় এসেছে, ১৯৯৫ সালে এ শহরের গাছপালা ছিল মোট আয়তনের ১২ শতাংশ। ২০১৫ সালে হয়েছে ৭ শতাংশ। এখন আরও কমে ৫-৬% শতাংশ। জলাধারের অবস্থাও সঙ্গীন। বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত ঢাকার দু’পাশে নদী প্রবাহিত হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণে। এই নদীগুলো এখন দখলদারদের খপ্পরে পড়ে সংকুচিত হওয়ার চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে, খাল-বিলের কথা তো বাদই থাকল। জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে ড্যাপের নির্ধারিত জলাভূমির মধ্যে ২০১৯ সালের জানুয়ারির মধ্যেই ভরাট হয়ে গেছে ২২ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও