You have reached your daily news limit

Please log in to continue


দীর্ঘস্থায়ী নিম্নমুখী অর্থনৈতিক চাপ ও রাজনৈতিক কেন্দ্রীকরণ

দীর্ঘস্থায়ী নিম্নমুখী চাপ দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে নাড়া দিয়েছে। অর্থনীতির তিনটি মৌলিক ইউনিট তথা খানা, কারবার এবং রাষ্ট্রে প্রতিকূল দুর্দশা মোকাবেলায় নগদ অর্থের অভাব দিন দিন বাড়ছে। কভিড মহামারী পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমে যাওয়া এবং সর্বোপরি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিম্নমুখী চাপ বাড়িয়েই চলছে। এ চাপ অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে পর্যবসিত করেছে। ঝুঁকি না কমাতে পারলে এমন আশঙ্কা অমূলক হবে না যে অর্থনীতি সংকটে নিপতিত হতে পারে। নভেল করোনাভাইরাসের জন্য সরবরাহ ও চাহিদার বড় মাত্রার পতন বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দায় নিমজ্জিত করেছে। এখন পর্যন্ত সেই সরবরাহ প্রবাহ সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি। ফলে পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত যুক্ত হয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ কঠিনতর করেছে।

রুশ-ইউক্রেন সংঘাতের ছয় মাস আগ থেকে বাংলাদেশে রিজার্ভ কমতে থাকে। অস্বাভাবিক আমদানি বাড়ার কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে শুরু করে। অস্বাভাবিক আমদানি বাড়ার সঙ্গে পুঁজি পাচারের যোগসাজশের অভিযোগ তদন্ত করা হয়নি। পরবর্তী সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার আয় কমে যাওয়ায় রিজার্ভ আরো কমতে শুরু করেছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পতন রোধের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বে গত বছরের এপ্রিলের ৪৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন থেকে এ বছরের ১৩ এপ্রিলে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বিনিয়োগ বাদ দিলে নিট রিজার্ভ সাড়ে তিন মাসের মতো আমদানি ব্যয় বহন করতে পারবে।

অতিমারী শুরুর আগ থেকেই বাংলাদেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট কাঠামোগত চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। যেমন দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমতে শুরু করে। সার্বিকভাবে সমাজে বৈষম্য দ্রুতগতিতে বাড়ছে। মজুরি বাড়ার হারের তুলনায় মূলধনে বেশি মুনাফাপ্রাপ্তি বৈষম্যকে অধিক হারে বাড়িয়ে চলছে। করোনাভাইরাস অতিমারী দেশের প্রান্তিক গোষ্ঠীর সদস্য, বিশেষত নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ, মহিলা, শিশু, বয়স্ক, বেকার ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকায় মারাত্মক অভিঘাত ফেলেছে। স্বল্প ও নির্দিষ্ট আয়ের পরিবারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে অনানুষ্ঠানিক খাতের মজুরি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়েছে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মজুরি প্রবৃদ্ধি সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। মূল মজুরি কমে যাওয়ায় অধিকাংশ মানুষ নিজেদের সঞ্চয় ভেঙে ব্যয় করছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ নিজেদের দৈনন্দিন খরচের জন্য ধার-দেনা করছে।

বর্তমানে ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপে সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার অনুপস্থিতিতে অনেককে প্রয়োজনীয় খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ কমাতে বাধ্য করেছে। ফলে সার্বিকভাবে পুষ্টি গ্রহণের মাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। কেউ কেউ চিকিৎসা ও শিশু শিক্ষার ব্যয় কমাতে বাধ্য হয়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন