পিত্তথলিতে ব্যথা মানেই পাথর নয়
গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে পাথর বেশ পরিচিত একটা রোগ। ফলে পিত্তথলিতে ব্যথা মানেই অনেকে মনে করেন পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। তবে পিত্তথলিতে ব্যথা মানেই পাথর জমা নয়। যকৃতের নীচে ডান দিক ঘেঁষে অবস্থিত একটি ছোট অঙ্গ পিত্তথলি। লিভার বা যকৃৎ দ্বারা উৎপাদিত অতিরিক্ত পিত্ত এই গলব্লাডারে এসে জমা হয়।
কী কী কারণে গলব্লাডারে ব্যথা হতে পারে?
• পিত্তনালিতে পাথরের উপস্থিতি ‘কোলেডোকোলিথিয়াস’ নামে পরিচিত। এটি পিত্তের প্রবাহকে বাধা দেয়, ফলে থলিতে চাপ পড়ে ও ব্যথা বৃদ্ধি পায়।
• কোলেসিস্টিসের দু’টি ভাগ রয়েছে, ‘অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস’ এবং ‘অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস’। অ্যাকিউট কোলেসিস্টিস ঘটে পিত্তথলিতে পাথর আটকে থাকার ফলে। অ্যাক্যালকুলাস কোলেসিস্টিস পিত্তনালিতে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। দু’টি কারণেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়।
• পিত্তথলিতে কোলেস্টেরল মনোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম বিলিরুবিন এবং অন্যান্য লবণের সংমিশ্রণ হলো ‘বিলিয়ারি স্লাজ’। এই পদার্থগুলো জমা হওয়ার ফলে পিত্তথলিতে ব্যথা হতে পারে।
যেসব লক্ষণে সতর্ক হওয়া জরুরি
• পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে সেই ব্যথা কোমর এবং ডান কাঁধ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হতে হবে।
• পেটের ডান দিকে তীব্র ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমি।
• পিত্তথলিতে প্রদাহের কারণে শরীরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পেতে পারে এবং গাঢ় রঙের প্রস্রাব হয়।
পিত্তথলির পাথর কী?
পিত্তথলির পাথর ছোট ছোট বালির দানার মতো হয়ে থাকে। মটরের দানা বা তার চেয়েও বড় শক্ত দানাদার বস্তু, যা বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। এটি নির্ভর করে কী পদার্থ দিয়ে পাথর তৈরি হয় তার ওপর। কোলেস্টেরল, বিলিরুবিন বা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি এই পাথরগুলো পিত্তরসের সঙ্গে মেশানো অবস্থায় থাকে। হালকা বাদামি, ময়লাটে সাদা বা কুচকুচে কালো রঙের হতে পারে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- পিত্তথলিতে পাথর