পেঁয়াজ রসুন আদা আলুর দামে বড় লাফ
ঈদুল ফিতরের দু-এক দিন আগেও পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। অথচ এখন এক কেজি কিনতে গেলে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া আদা, রসুন ও আলুর দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। গতকাল রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, হাতিরপুল কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র।
ভোক্তাদের দাবি, রোজার আগেও ব্যবসায়ীরা কৌশলে কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন। এখন ঈদুল আজহায় বেশি চাহিদা থাকে এমন পণ্যের দাম আগেভাগেই বাড়ানো হচ্ছে। রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা হয় আমিনুর রহমান নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। সমকালকে তিনি বলেন, ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় এসেই দেখি পেঁয়াজের দাম চায় ১৬০ টাকা। আদা কিনলাম ৩৫০ টাকা দিয়ে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এবার নাকি পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। তাহলে দাম তো কমার কথা। মাঝেমধ্যে হাঁকডাক করে অভিযান পরিচালনা করলেও বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ লাখ ৪১ হাজার টন। সেই হিসাবে তিন বছরের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়েছে ১৩ লাখ ১১ হাজার টন। অন্যদিকে কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। সে অনুযায়ী চাহিদার চেয়েও প্রায় ৬ লাখ টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পাশাপাশি সারাবছরই ভারত ও মিয়ানমার থেকে কমবেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর পরও পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাজারে এখন আমদানি করা পেঁয়াজ নেই, সবই দেশি। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ৭২ শতাংশ বেশি।
দাম বাড়ার পেছনে নানা যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, গত ১৫ মার্চ থেকে আমদানি অনুমতিপত্র বা আইপি বন্ধ থাকায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। ফলে পুরো চাহিদা মিটছে দেশি পেঁয়াজ দিয়েই।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- আলু
- পেঁয়াজ
- মূল্যবৃদ্ধি
- রসুন
- আদা