
ধানের দামে খুশি হাওরের কৃষক
বৈশাখের শুরু থেকে বিস্তীর্ণ হাওরাঞ্চলে ধান কাটা শুরু হলেও মোকামে এখনও পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়নি।
দেনা করে বোরো ধান করা হাওরের কিছু ছোট কৃষক প্রয়োজনের তাগিদে অল্প করে ধান বিক্রি করছেন বাড়িতে রেখেই; নেত্রকোণায় দামও ভালো মিলেছে। তবে শেষ সময়ে ব্লাস্ট রোগের কারণে চিটা হওয়ায় সুনামগঞ্জে ধানের দাম কিছু কম।
ক্ষেত্রবিশেষে ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ চিকন ধান ১০০০ হাজার থেকে ১১৫০ টাকা দামে মাঠ থেকেই কিনে নিচ্ছেন পাইকাররা। আর মোটা ধান ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মধ্যে। তবে ব্লাস্টের কারণে চিটা হয়ে যাওয়া ধানের দাম তুলনামূলক কম; সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার কৃষক, পাইকার, চালকল ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হাওরের খলায়-খলায় এখন ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো ও সিদ্ধ করার কাজ পুরোদমে চলছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা।
পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এই জলভাণ্ডারের নিচু জমি দেশের খাদ্যশস্যের বড় জোগানদার। এই জমির দিকে সারা বছর তাকিয়ে থাকে হাওর অধ্যুষিত সাত জেলার কৃষক। তবে সবচেয়ে বেশি ধান হয় নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলায়।