রাজনীতিতে একটি নতুন মেরূকরণ দরকার

সমকাল পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৩১

সদ্য প্রয়াত রাজনীতিক পঙ্কজ ভট্টাচার্যের একই সাক্ষাৎকার ২৭ ডিসেম্বর ২০২২-এ সমকালে প্রকাশিত হয়েছিল। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা তা পুনঃপ্রকাশ করছি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন সমকালের সহকারী সম্পাদক সাইফুর রহমান তপন।


আওয়ামী লীগ-বিএনপি বলয়ের বাইরের বাম-প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে একটি বিকল্প শক্তি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলবেন?


পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আমি যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের প্রত্যেকেই অনুভব করছেন– রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় নেই। সংবিধান আছে, তবে সংবিধানের মূল সুর, মূল চেতনাবিরোধী কাজকর্ম চলছে। জনগণ ক্ষমতার মালিক; সেই মালিকানা ছিনতাই হয়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তাশীল মানুষ, বিবেকবান মানুষ, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে নীতিনিষ্ঠ রাজনীতি করে আসছেন, তাঁদের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক ঘটেছে। একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র গঠনের চেতনা আমরা মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পেয়েছি। তা রক্ষা করতে হলে রাজনীতিতে একটি নতুন মেরূকরণ দরকার। আজকে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশকে স্বমহিমায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা; জনগণ তথা কৃষক-শ্রমিকের অধিকার, যা সংবিধানে বারবার বলা হয়েছে– নিশ্চিত করা; সব মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা; রাষ্ট্রের ওপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত– এ কাজগুলো করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ধারণকারী বাম-প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে কাছাকাছি এনে একটি প্রতিরোধ দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। এটি হবে বিদ্যমান দুই মেরূকরণের বাইরে আরেকটি নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির মেরূকরণ।


উদ্যোগটি কি আপনার একার, না আরও কেউ আছে?


পঙ্কজ ভট্টাচার্য: আমি একা নই। আমার সঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবির কথা হয়েছে। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের খালেকুজ্জামানসহ নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ জাসদ; মূলত তার প্রধান নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে। এটি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের নতুন সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। এ আলোচনা প্রাথমিকভাবে হয়েছে। এর পর সবাই বসে একটি রূপরেখা, ঘোষণাপত্র ঠিক করা হবে। সেই কাজটি বাকি।


আপনি বলছেন, রাষ্ট্র সংবিধান অনুসারে চলছে না; মানুষের ভোটাধিকার ভূলুণ্ঠিত। এগুলো বিএনপি ও তার মিত্র দলগুলোও বলছে। তাদের সঙ্গে তাহলে আপনাদের ঐক্য হচ্ছে না কেন?


পঙ্কজ ভট্টাচার্য: হ্যাঁ, তারাও এসব কথা বলছে। বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, সেখানে অনেক কথা আছে। কিন্তু সেগুলো কি কথার কথা, নাকি আসল কথা? এ ব্যাপারে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা তাদের অর্জন করতে হবে। অতীতে তারা বহু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। এ দুটি বিষয় তাদের পরিষ্কার করতে হবে। অর্থাৎ জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়তে হবে এবং জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হবে। জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে– অতীতের অপকর্মগুলোর পুনরাবৃত্তি হবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও