বৈশ্বিক লজিস্টিকস সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ
পণ্য ও সেবার উৎপত্তিস্থল থেকে শুরু করে সর্বশেষ ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘লজিস্টিকস’ নামে পরিচিত। কোন দেশের লজিস্টিকস পরিস্থিতি কেমন, তা জানার জন্য বিশ্বব্যাংক ২০০৭ সাল থেকে লজিস্টিকস পারফরম্যান্স ইনডেক্স (এলপিআই) প্রকাশ করে আসছে। সর্বশেষ প্রকাশিত এ সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এবং বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক পাঁচ বছর পর এ সূচক প্রকাশ করল, যার মধ্যে কভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বিশ্বে পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক গত শনিবার লজিস্টিকস পারফরম্যান্স সূচক-২০২৩ প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্কোর ২ দশমিক ৬ এবং অবস্থান ১৩৯টি দেশের মধ্যে ৮৮তম। এর আগে ২০১৮ সালে এ সূচকের ফলাফল প্রকাশিত হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০০তম। তবে ওই বছর ১৬০টি দেশ অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ দশমিক ৫৮। ৬টি মানদণ্ডের আলাদা স্কোর যোগ করে গড় স্কোর নির্ণয় করা হয়। সূচক নির্ণয়ের জন্য যে জরিপ করা হয়েছে, তাতে ‘খুব কম’ পারফরম্যান্স বলতে ‘১’ এবং ‘খুব ভালো’ বলতে ‘৫’ স্কোর বোঝানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লজিস্টিকস পারফরম্যান্স জানার জন্য গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দুই মাস সময়কালে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক লজিস্টিক অপারেটর অর্থাৎ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার এবং এক্সপ্রেস ক্যারিয়ারদের কাছ থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট প্রশ্নমালার উত্তর নেওয়া হয়েছে। জরিপের বাইরে সমুদ্রে জাহাজ চলাচল এবং কনটেইনারের অবস্থান জানা (ট্র্যাকিং), ডাক এবং পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত বিভিন্ন উপাত্ত সূচক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। কোন মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন মোট ছয়টি মানদণ্ডের মধ্যে তিনটিতে বাংলাদেশ ২০১৮ সালের চেয়ে এগিয়েছে। দুটিতে পিছিয়ে গেছে এবং একটি অপরিবর্তিত রয়েছে। কাস্টমস মানদণ্ডে বাংলাদেশের স্কোর ২ দশমিক ৩। ২০১৮ সালেও একই স্কোর ছিল। কাস্টমস মানদণ্ডে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম।