বিক্ষোভে হাঁড়িপাতিল মানা
পরিদর্শনে যাবেন প্রেসিডেন্ট। তবে এর আগেই দেখা দিল বিপত্তি। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে যোগ দিতে হাজির হাজারো মানুষ। তাঁদের অনেকের হাতে হাঁড়িপাতিল। এতে বাদ সাধল পুলিশ। শেষমেশ প্রেসিডেন্ট পৌঁছানোর আগে হাঁড়িপাতিলসহ অনেক বিক্ষোভকারীকে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। অনেকের কাছ থেকে হাঁড়িপাতিল জব্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় গানজেস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বেশ কিছুদিন হলো ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। পেনশন সংস্কার আইনে চাকরিতে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করা হয়েছে। এ নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। প্রতিবাদে তাঁরা হাঁড়িপাতিল হাতে নিয়ে রাজপথে নামছেন। হাঁড়িপাতিল বাজিয়ে মাখোঁর প্রতি অসন্তোষের কথা জানান দিচ্ছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার গানজেসে বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে হাঁড়িপাতিল কেড়ে নেওয়ার পর পুলিশ অবশ্য বলে, তারা ওপর মহলের আদেশ মেনেই এটা করেছে। তাদের বলা হয়েছিল, প্রেসিডেন্টের সফরের সময় শব্দ সৃষ্টি করতে পারে, এমন কোনো জিনিস সঙ্গে রাখা যাবে না। এই তালিকায় হাঁড়িপাতিলও রয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ ফ্রান্সে সফরের সময় মাখোঁর দিকে দূর থেকে ডিম ও আলু ছুড়ে মারার ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডিম ও হাঁড়িপাতিল, এগুলো আমি রান্নার কাজে ব্যবহার করি।’ এর আগের দিন গত বুধবার বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এসব হাঁড়িপাতিল ফ্রান্সকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে না।’
তবে মাখোঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলাতে নারাজ ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িপাতিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ক্রিস্টেল’। ঠাট্টাচ্ছলে তারা বলে, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট, ক্রিস্টেলে আমরা এমন সব হাঁড়িপাতিল বানাই, যেগুলো ফ্রান্সকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়!’ একইভাবে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে ছাড়েননি মাখোঁর প্রতিপক্ষ রাজনীতিকেরাও।
- ট্যাগ:
- জটিল
- নিষেধ
- বিক্ষোভ
- প্রেসিডেন্ট
- পাতিল
- ইমানুয়েল ম্যাখোঁ