সাংবাদিককে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি ভেদ করে গেল শিশুর পেট
ঈদ আনন্দে পরিবারের সঙ্গে যেখানে হাসিখুশিতে মেতে থাকার কথা ছিল, তাঁর বদলে গুলি খেয়ে দুদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বেডে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে পাঁচ বছরের শিশু রাফি। এ দিকে সন্তানের জ্ঞান কখন ফিরবে সেই আশায় সেখানে থাকা বাবা-মায়ের চোখেও ঘুম নেই। সন্তানের এই হাল দেখে কখনো কখনো বাবা-মা দুজনই কাঁদছেন।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় চট্টগ্রামে সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডাঙ্গা এলাকায় দাদার দোকানে বসা থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয় শিশু রাফি। সে ওই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। আব্দুর রহিম পেশায় একজন দিনমজুর।
ওই দিন ঘটনাস্থলে এস এম কামরুল ইসলাম নামে একজন স্থানীয় সাংবাদিকও গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কামরুল ইসলামকে লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়েছিল বলে পুলিশ স্থানীয়রা জানিয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ছাড়া এ ঘটনায় নির্দিষ্ট কারও বিষয়ে এখনো জানেন না বলে দাবি শিশুটির পরিবারের।
চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক রাজীব খাস্তগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিশুটির অবস্থা এখনো আশঙ্কামুক্ত নয়। পেটে গুলি লেগে বের হয়ে গেছে। শিশুটির অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২৬ নম্বর বেডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’