কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চমক সৃষ্টির পর উত্তীর্ণ হতে হবে পরীক্ষায়

www.ajkerpatrika.com মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:১৯

গাজীপুরসহ দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে নির্বাচন করার জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মাসের শেষ দিক থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি পৃথক দিনে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিটিতে হবে নির্বাচন। তাতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনমুখী দল আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে পাঁচজন মেয়র প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। রাজশাহী ও খুলনার বর্তমান দুই মেয়রকে বহাল রেখে গাজীপুর ও বরিশালে নতুন দুজনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সিলেট সিটিতেও চমক সৃষ্টি করা হয়েছে কম আলোচিত প্রবাসী একজনকে মনোনয়ন দিয়ে। সেখানে কোন্দল এড়াতেই এমন ব্যবস্থা বলে জানা যাচ্ছে। এটা উপযুক্ত নেতা সৃষ্টি না হওয়ার কারণে কি না, সেই প্রশ্নও থেকে যায়।


দলের প্রার্থী মনোনয়নে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গাজীপুর ও বরিশালে নতুন মুখ খুঁজে বের করার ঘটনা। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, বরিশালে দলের প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন না পাওয়ায় তা বেশি আলোচনায় এসেছে। কারণ গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পতন ঘটেছিল আগেই। বঙ্গবন্ধু ও একাত্তরের শহীদদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে তিনি আগেই দল থেকে বহিষ্কৃত হন। মেয়র পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এসেছিল। এর পরও তিনি নতুন করে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে ভুল স্বীকার করায় তাঁকে দলে ফেরত নেওয়া হলেও নেত্রী যে এ ধরনের লোকের বিষয়ে কঠোর, সেই বার্তা দিলেন তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে। এটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে বরিশালে সাদিক আবদুল্লাহ তাঁর যাবতীয় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পরও মনোনয়ন পেয়ে যেতে পারেন বলে অনেকে ধারণা করেছিলেন। পদ ও মনোনয়ন পাওয়ার বেলায় পারিবারিক যোগাযোগ আমাদের রাজনীতির একটি বড় নিয়ামক বলে মনে করা হয়। সে কারণেই সাদিক আবদুল্লাহ দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় সেটাকে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বড় বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে। সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও বড় বিবাদে জড়িয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন ক্যাডার থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়। সরকার তখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় কি না, সেই প্রশ্ন জেগেছিল। সেটা না হলেও নতুন করে তাঁর মেয়র হওয়ার সুযোগ যে কেড়ে নেওয়া হলো, এটা দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ। এ ঘটনা থেকে ক্ষমতা পেয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করে ফেলা ব্যক্তিদের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও