কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পাঁচ সিটিতে হিসাবের প্যাঁচ

বাংলা ট্রিবিউন প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:১৭

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখন আমাদের দৃষ্টিসীমায়। এ বছরের শেষ নাগাদ, বড় জোর আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে দেশের রাজনৈতিক বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রশ্নবিদ্ধ দুটি নির্বাচনের পর সবার আকাঙ্ক্ষা এখন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু এই শর্তগুলো পূরণের আগে আসল শর্তটি হলো, নির্বাচনটি হতে হবে অংশগ্রহণমূলক। যাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক করতে পারে, সেই বিএনপি এখনও বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে অনড়। আবার সরকারি দলও সংবিধানের বাইরে অন্য কোনও সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেওয়ার ব্যাপারে অনড়। শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ব্যাপারে সরকার কোনও ছাড় দেবে কিনা; সেটা দেখার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।


তবে দেশে যখন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, তখন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন দিয়ে শুরু হবে এ নির্বাচনের পর্ব। ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন হবে রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন। এই পাঁচ সিটি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন নানা হিসাব-নিকাশ হচ্ছে। চলবে কিছু কৌশলের খেলাও। বিএনপি যথারীতি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে অনড়। বিএনপির পক্ষে এই মুহূর্তে সেই অবস্থান থেকে সরে এসে সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন। আবার দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও আগ্রহী প্রার্থীদের কতটা ঠেকিয়ে রাখা যাবে, তা নিয়েও সংশয় আছে। বিশেষ করে যেসব সিটিতে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, সেসব সিটিতে আগ্রহী প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। সিলেটে বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু, গাজীপুরে হাসানউদ্দিন সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে ‘উকিল আব্দুস সাত্তার’ মডেল নিয়ে শঙ্কিত বিএনপিও।


তবে সমস্যা শুধু বিএনপির ঘরে নয়, অস্বস্তি আছে আওয়ামী লীগেও। ক্ষমতাসীন দলটি এরই মধ্যে পাঁচ সিটিতে তাদের মনোনয়ন ঘোষণা করেছে। পাঁচটির মধ্যে তিনটিতেই তারা প্রার্থী বদল করেছে। একটিতে অবশ্য বদল করতেই হতো। সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন কামরানের মৃত্যুর কারণে এখানে মনোনয়ন বদলানো হয়েছে। তবে লন্ডন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে দলের মধ্যেই ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে মাঠে থেকে রাজনীতি করছেন, তাদের মধ্যে ক্ষোভটা বেশি। তাদের না দিয়ে লন্ডন থেকে উড়িয়ে এনে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়াটা তাদের ক্ষুব্ধ করেছে। অনেকেই বলছেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জিতলে মেয়র হবেন, হারলে লন্ডন চলে যাবেন। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী যদি বিএনপির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেন, সাথে যদি আওয়ামী লীগের একাংশের ক্ষোভটা নিজের পক্ষে টানতে পারেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর জেতাটা অত সহজ হবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও