ডেল্টা সুশীল সমাচার

জাগো নিউজ ২৪ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:৩১

ভদ্রলোকের সাথে আমার পরিচয় নেই, ভবিষ্যতে আবার দেখা হবে এমন সম্ভাবনাও নেই আর দেখা হলে পরস্পরকে চিনতে পারবো তেমনটাও সম্ভবত সম্ভব না। লেখার শুরুতেই এমন একজন অপরিচিত ব্যক্তির প্রসঙ্গটা টেনে আনার কারণ তিনি এমন একটি চরিত্রের অধিকারী মানুষ যাদের নিয়েই আজকের লেখাটি বিস্তৃত করবো।


এই মানুষগুলো দেশকে গাল দিয়ে আর দেশের গর্বের জায়গাগুলোতে অসন্মানিত করে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পান এবং বিশ্বাস করেন যে এমন আচরণ তাদের গ্লোরিফাই করে। ভদ্রলোকের সাথে আমার প্রথম এবং একমাত্র সাক্ষাৎটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি লাউঞ্জে। একটা সময় ছিল যখন দেশের বিমানবন্দরগুলোতে লাউঞ্জ বলতে শুধু ভিআইপি লাউঞ্জ থাকতো। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ লোকজন এবং উধ্র্বতন কর্মকর্তারা শুধু সেই লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ পেতেন।


সেসব জায়গা ছিল আমজনতার ধরা ছোঁয়ার ঊর্ধ্বে। ঊধ্র্বতন সরকারী কর্মকর্তার ছেলে হওয়ার সুবাদে বাবার কল্যাণে ভিআইপি লাউঞ্জ নামক এই বিশেষ সেবা গ্রহণের সুযোগ আমার সুখস্মৃতিতে এখনও জাজ্জ্বল্যমান। তবে এখন জমানা পাল্টে গেছে। এখন পকেটে একটা মোটামুটি ভারি ক্রেডিট কার্ড থাকলেই দেশের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে যে একাধিক লাউঞ্জ আছে সেসবের পরিসেবা গ্রহণ করা যায়। এখন আর এই বিশেষ সুবিধা ভোগ করার জন্য নামের শেষে ভিআইপি তকমাটি থাকার প্রয়োজন পড়ে না।


প্রথমে ভদ্রলোককে খেয়াল করিনি। খেয়াল করলাম তার বাগাড়ম্বরের কারণে। শুক্রবার রাতে সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের শেষ ফ্লাইটটি যথারীতি অন শিডিউল। লাউঞ্জের রিসেপশনে বসা ভদ্রলোক বিনীতিভাবে তার বিশিষ্ট ক্লায়েন্টদের অনুরোধ জানাচ্ছেন বিমানে আসন নেয়ার জন্য। শুনে যেন আকাশ থেকে পড়লেন ভদ্রলোক। কথায় বুঝলাম তিনি দেশে থাকেন না। বিমানের শিডিউল মেইন্টেইন করাটা তার কাছে ‘মিরাকেল’।


রিসেপশনিষ্টকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন, বিমান যদি অন টাইমই ছাড়বে তবে তার এত খরচ করে গিয়ে লাউঞ্জে বসার প্রয়োজন কি ছিল? একটু পরে বিমানে চড়ার সময় দেখলাম ভদ্রলোক বিমানের আধুনিক ড্যাশ-৮ বিমানটিকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে সেলফি তোলায় ব্যস্ত। শুরুতে রাগে পিত্তিটা জ্বলে গেলেও, অগত্যা বুঝতে পারলাম তিনি ‘ক্যাটাগরি-১ বাংলাদেশ’ বিদ্বেষী। এই ক্যাটাগরির লোকেরা দেশের সুনামের জন্য হানিকর, তবে দেশের জন্য অতটা নন। তারা আমার ধারণা হয় বিকৃত রুচির অধিকারী অথবা মানসিক রোগে আক্রান্ত।


তবে আরেক ধরনের মানুষ আছেন যারা ‘ক্যাটাগরি-২ বাংলাদেশ বিদ্বেষী’। এরা সুশীল সেজে আমাদের আশপাশে ঘুরঘুর করেন, সুন্দর-সুন্দর কথা বলে টকশোগুলোতে মধ্যমনির আসন ধরে রাখেন আর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেমনটি বলেছেন, এরা অল্পকিছু পয়সায় বিক্রি হন আর তাদের পাশ্চাত্যের প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটান। এরা অবশ্যই দেশের জন্য ক্ষতিকর। নানা সময়ে দেশের বড় বড় ক্ষতি এদের দ্বারা হয়েছে। সর্বশেষ ওয়ান ইলিভেনে আমরা এদের দৌড়াদৌড়ি দেখেছি। হালে এরা আবার দৌড়াতে শুরু করেছেন। লক্ষ্য একটাই - আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্রিক শক্তিকে উৎখাত করে যদি তাদের প্রভুদের বংশদবদ কোনো সরকারকে তখতে বসানো যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও