কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তীব্র গরমে এসির বিক্রি বেড়েছে

সমকাল প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০০

তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা নাগরিক জীবনে। ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাগুলোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এ বছর তাপমাত্রা বেশি চড়েছে। অনেকে একে মরুভূমির তপ্ত আবহাওয়ার সঙ্গে তুলনা করছেন। দিনের বেলা তো বটেই, রাতেও এমন তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না কেউই। ফলে স্বস্তি খুঁজতে কেউ কেউ ছুটছেন এয়ার কন্ডিশনার (এসি) শোরুমে। শুধু উচ্চ বা মধ্যবিত্ত নন, স্বল্প আয়ের মানুষও এসি কিনতে শোরুমে ঢুঁ মারছেন।


ঢাকার মান্ডার বাসিন্দা রুহুল হক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বল্প বেতনভোগী কর্মচারী। অফিস দিলকুশায়। গত রোববার রাজধানীর স্টেডিয়াম মার্কেটে আসেন বাসার জন্য একটি এসি কিনতে। যদিও নিজের আয়ের সঙ্গে এসি কেনা ও ব্যবহার করা সঙ্গতিপূর্ণ নয়– তা অকপটেই জানালেন তিনি। রুহুল হক বলেন, ঈদ বোনাসের কিছু টাকার সঙ্গে কিস্তি মিলিয়ে হয়তো এসি কেনা যাবে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল নিয়ে দুশ্চিন্তা আছে। তবে অসুস্থ মা ও সন্তানের জন্য এসি নেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।


তবে রুহুল হকের মতো স্বল্প আয়ের সব মানুষই এসি কেনার সাহস করেন না। যেমন– খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা মধ্যবয়সী জোহরা বেগম স্টেডিয়াম মার্কেটে এসেছেন কম দামে একটি এয়ার কুলার কিনতে। তিনি বলেন, ‘এসি কেমনে কিনুম। অত ট্যাকা কই পামু। খালি এসি লাগাইলেই তো হইব না। বিদ্যুৎ বিল আছে না! এর লাইগা একটা কুলার (এয়ার কুলার) কিনতে আইছি।’ ফ্যান না কিনে এয়ার কুলার কেন– এমন প্রশ্নে তিনি জানান, বাসায় ফ্যান আছে। বাতাস খুব গরম, ফ্যানে কাজ হয় না। রোজা রেখে খুব কষ্ট হয়। এজন্য জমানো টাকা দিয়ে এয়ার কুলার কিনতে এসেছেন। গতকাল স্টেডিয়াম মার্কেটে এসি আছে এমন শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের বেশ আনাগোনা দেখা গেছে। এস্‌ক্যোয়ার গ্রুপের শোরুমের বিক্রেতা জানালেন, সাধারণত সব এসি বিনামূল্যে লাগিয়ে (ইনস্টল) দেন তাঁরা। তবে এখন এত বেশি ক্রয় আদেশ পাচ্ছেন যে, এ সেবা দেওয়ার মতো লোকবল তাঁদের নেই। হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত গরমে একটু স্বস্তি পেতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এসি কিনছেন। বৈশাখী ছাড়ের সঙ্গে আসন্ন ঈদের ছাড়ের কারণেও এসি বিক্রি বেড়েছে। এ মার্কেটের তসরিফা ইলেট্রনিকস নামে এক শোরুমের বিক্রেতা মোহাম্মদ ফিরোজ জানান, ১৫ রমজান পর্যন্ত কেনাবেচা প্রায় ছিল না। গত শুক্রবার থেকে গরম বাড়ায় হঠাৎ করে এসির চাহিদা বেড়েছে। এই তিন দিনে প্রায় ২০০ ইউনিট এসি বিক্রি করেছেন। গ্রে ব্র্যান্ডের এক ও দেড় টনের এসি বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও