৫ সিটি নির্বাচন: ফাঁকা মাঠে গোল না শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা!

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৩৪

মাসখানেক আগে রাজশাহী ও সিলেট গিয়েছিলাম প্রথম আলোর সুধী সমাবেশ ও জিপিএ-৫ উৎসবে যোগ দিতে। আমরা যারা নিত্য যানজট ও অপরিচ্ছন্ন ঢাকা শহরে বাস করি, তারা শহর থেকে বের হলেই একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলি। রাজশাহী ও সিলেট শহরও একসময় অপরিচ্ছন্ন ছিল। রাস্তাঘাট অপ্রশস্ত ছিল। কিন্তু দুই সিটি করপোরেশনের দক্ষ নেতৃত্বে দুটি শহর যেমন পরিচ্ছন্ন হয়েছে, তেমনি বেড়েছে নাগরিক সেবাও। রাজশাহীতে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ও সিলেটে আরিফুল হক চৌধুরী মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। একজন আওয়ামী লীগের ও অপরজন বিএনপির।


শনিবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় যখন পাঁচ সিটির মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী পরিবর্তন ও দুটিতে সাবেক বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়, আমরা অবাক হইনি। পাঁচ সিটির মধ্যে রাজশাহীতে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান ও খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক আবার মনোনয়ন পেয়েছেন।


রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, খায়রুজ্জামানের কাজ নিয়ে সবাই সন্তুষ্ট। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাও স্বীকার করেন যে তাঁর সময়ে রাজশাহী শহরে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি পদ্মার পাড় ঘিরে ১১ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করেছেন, শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে নানা প্রকল্প নিয়েছেন। বিমানবন্দর থেকে শহরে নতুন যে বাইপাসটি হয়েছে, তাতে যানজট অনেক কমেছে।


প্রথম আলো শিরোনাম করেছিল, ‘শহরের চোখ খুলে দিয়েছে যে সড়ক’। এ রকম চোখ ও মন খুলে দেওয়া আরও অনেক প্রকল্প আছে। খায়রুজ্জামানের অনুসারীদের কেউ কেউ চেয়েছিলেন, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। কিন্তু দল শেষ পর্যন্ত তাঁকে সিটি মেয়র পদেই রেখে দিল। খুলনার উন্নয়নে তালুকদার খালেক উল্লেখযোগ্য কিছু না করলেও আওয়ামী লীগ তাঁর ওপর ভরসা রেখেছে। বিকল্প প্রার্থী নেই।


অপর তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ নতুন মুখ নিয়ে এনেছে। বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও গাজীপুরে আজমত উল্লা খান। ক্ষমতাসীন দলের দুজন মেয়র বাদ পড়েছেন। সাদিক আবদুল্লাহ ও জাহাঙ্গীর আলম।


২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ আজমত উল্লা খানকে বাদ দিয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে বেছে নিয়েছিলেন। এর অর্থ সেখানে তাদের বিকল্প কোনো প্রার্থী নেই। জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মেয়র পদ হারান ও দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার হন। পরে দলের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হলেও তিনি আর মেয়র পদে মনোনয়ন পেলেন না। এখন বলছেন, নগরবাসী চাইলে তিনিও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও