ঘুমোনোর সময়ে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, দরদর করে ঘামছেন? শরীরে মারণরোগ বাসা বাঁধার ইঙ্গিত নয় তো?
ক্যানসার, এই একটা শব্দই ভয়ে আঁতকে ওঠার জন্য যথেষ্ট। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় এই রোগের কিছু কিছু পর্যায়ের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব হলেও, শেষ পর্যায় ধরা পড়ার কারণে অনেককেই এই মারণরোগের কাছে হার শিকার করতে হয়। তাই ক্যানসার নিয়ে আতঙ্ক সহজেই জাঁকিয়ে বসে। দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সামান্য ব্যথা বা কিছু পরিবর্তন দেখলেই আমরা দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিই। কিন্তু হাড় সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে কোনও ভাবে আঘাত লেগেছে ভেবে বসে থাকেন কেউ কেউ। আর এ কারণেই হাড়ের ক্যানসার শরীরে বিস্তারের সময় পেয়ে যায়। এই রোগ এমন সময়ে ধরা পড়ে, যখন আর করার কিছুই থাকে না। তাই চিনে নিন নীরব ঘাতক হাড়ের ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন।
১) কোনও চোট-আঘাত না পাওয়া সত্ত্বেও হাড়ে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি যদি সেই স্থানটি ফুলে যায়, বিশেষ করে গাঁটের স্থান ফুলে যায়, তা হলে এটি সাধারণ হাড়ের সমস্যা না-ও হতে পারে।
২) ফুলে যাওয়া স্থানে গোটার মতো কিছু অনুভব করা মাত্র সতর্ক হোন। যদি ব্যথার স্থানে রক্ত জমাট বাঁধার মতো গুটলি মনে হয়, তা হলে কিন্তু তা হাড়ের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
৩) হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া মানেই আপনার কোনও চোট লেগেছে, তা নয়। হাড়ের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হল হাড়ে ব্যথা হওয়া। এই ব্যথা একটানা হবে না। হঠাৎই ব্যথা শুরু হয় এবং বন্ধ হয়ে যায়। রাতে ঘুমোনোর সময়ে ব্যথা শুরু হওয়া, ভারী কোনও জিনিস তোলার পর ব্যথা হওয়া বা হাঁটার ফলে হাড়ে ব্যথা হওয়া হতে পারে হাড়ের ক্যানসারের লক্ষণ। এই প্রকার ব্যথার সঙ্গে প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে পড়াও কিন্তু ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।। তাই হাড়ের ব্যথা অবহেলা নয়।
৪) রাতে ঘুমের মধ্যে ভীষণ ঘামছেন? এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল, এই লক্ষণ কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
৫) হাড়ের ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে হাড়ের ভিতরে ক্ষয় হতে শুরু করে এবং হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এর ফলে সাধারণ কাজ যেমন, ওঠা বা বসার সময়ে, হাঁটু ভেঙে বসার সময় বা এমনি নিতান্ত সাধারণ কারণেও অনেক সময়ে হাড় ভাঙা বা হাড় ফ্র্যাকচারের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাবধান হন।