কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রযুক্তির ব্যবহারে স্বাবলম্বী

সমকাল প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০১

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেয়ে আমিনা খাতুন রোমানা। ছোটকাল থেকেই রোমানা ছিলেন স্বনির্ভর একজন মানুষ। ছোটবেলা থেকেই নিয়েছেন বিভিন্ন কাজের উদ্যোগ। নিজের মনের লালিত স্বপ্নকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সেখান থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে করেছেন ডিপ্লোমা। সেখানে পড়ার সময় শুধু পড়াশোনাতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত অসহায় নারীদের ছোটখাটো কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি নারীদের জন্য চালু করেছিলেন নৈশকালীন বিদ্যালয়। যেখানে গ্রামের নিরক্ষর নারীদের অক্ষর জ্ঞান দান করতেন।


ডিপ্লোমা কোর্স শেষে রাজশাহী ছেড়ে রোমানা চলে আসেন রাজধানী ঢাকায়। এখানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে চার বছর মেয়াদি বিএসসি কোর্সে ভর্তি হন। ঢাকায় এসেও নারীদের জন্য কিছু করার তাগিদ ফুরিয়ে যায়নি; বরং তা পেয়েছে নতুন মাত্রা। এখানে পড়ার সময় তিনি কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে গঠন করেন আইটি টিম। তাঁরা নিজেরা ফ্রিল্যান্সিং করতেন এবং অন্য নারীদের বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতেন। রুমানা ও তাঁর আইটি দলের স্বপ্ন বাংলাদেশের নারীদের নতুন প্রযুক্তির সংযুক্তিতে আত্মনির্ভর করে তোলা। এ জন্য তাঁরা কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন। যেমন– ১. ফ্রিল্যান্সিং শেখানো, ২. ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে গড়ে তোলা, ৩. নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে গড়ে তোলা ইত্যাদি। তাদের প্রতিষ্ঠান ‘রোমানা কারুশৈলী’ থেকে নারীরা বিনামূল্যে এ দীক্ষা নিতে পারছেন। তাঁরা এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। রোমানা নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন কয়েকশত ফ্রিল্যান্সার। তাঁরা নিজেরা যেমন স্বাবলম্বী হয়েছেন, ঠিক তেমন রেমিট্যান্স প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।


এই কর্মযজ্ঞ সম্পর্কে রোমানা বলেন, ‘আমি যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন গ্রামে নানা মানুষকে না খেয়ে কাটাতে দেখতাম। আমার বয়সী অনেককে দেখতাম তারা স্কুলে না গিয়ে কারখানায় কাজ করত। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে অনেককে ডাস্টবিন থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেতে দেখতাম। এরপর যখন বড় হই আমার মাঝে একটা বোধ আসে, তখন একই বিষয় দেখতে পাই। এটা আমাকে ভাবিয়ে তুলে। তখন থেকেই সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কিছু করতে চাই। সেই চাওয়া থেকেই আজকের এই পর্যন্ত উঠে আসা। দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য নারীদের অবস্থার পরিবর্তন জরুরি। আমি যেহেতু প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত, এর মাধ্যমে নারীদের স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা আছে।’ 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও