খেলাপি ঋণের বিরুদ্ধে উদ্যোগগুলো লোকদেখানো ও প্রতারণাপূর্ণ

প্রথম আলো ড. মইনুল ইসলাম প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৩৭

গত ২৭ মার্চ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের’ নিয়ন্ত্রণে আনতে বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইনে কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য একটি প্রস্তাবিত খসড়া অনুমোদিত হয়েছে, যে খসড়া বিল আকারে সংসদে উপস্থাপনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলেছে।


দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে খসড়াটি সম্পর্কে ব্যাপক আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে যে বিলটি সংসদে পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে এবার ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ সমস্যার একটা ভালো সমাধান পাওয়া যেতে পারে।


আমার মতে, প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো নেহাতই কতগুলো ‘কসমেটিক পরিবর্তন’। কোনো পরিবার থেকে পরিচালক তিনজনে নামিয়ে আনা; গাড়ি, বাড়ি ও কোম্পানির মালিকানা নেওয়ায় বাধা; ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ গ্রহণের সুযোগ কিছুটা সংকুচিত করা; কিছু রাজনৈতিক বিধিনিষেধ; বিদেশে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা; নতুন ঋণ নেওয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা—এ ধরনের পরিবর্তনগুলোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আমি মনে করি, আসলে সমস্যার মূল জায়গাটায় হাতই দেওয়া হয়নি।


সমস্যার মূলে রয়েছে দেশের বিচারব্যবস্থার বিভিন্ন স্তরে শত শত বা হাজার হাজার খেলাপি ঋণ মামলা বছরের পর বছর অমীমাংসিতভাবে ঝুলিয়ে রেখে ঋণখেলাপিরা তাঁদের আর্থিক ক্ষমতা ও ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ‘খেলাপি ঋণ ফেরত না দেওয়ার সংস্কৃতি’ অব্যাহত রাখতে পারা। এই সমস্যাকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার কোনো প্রস্তাবিত পরিবর্তন এই খসড়ায় নেই।


সরকার এখনো খেলাপি ঋণের ব্যাপারে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার খেলাই চালিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু আইএমএফ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের শর্ত জুড়ে দিয়েছে, তাই তাদের সন্তুষ্ট করার জন্য এই ‘কসমেটিক পরিবর্তনগুলো’ করার নাটক সাজিয়ে চলেছে সরকার। বিশ্বব্যাংকও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হওয়ার শর্ত দিয়েছে বলে জানা যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও