বাংলাদেশ কোন যুক্তিতে ইরানের পক্ষে ভোট দিল

প্রথম আলো ইরান মো. তৌহিদ হোসেন প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৩৫

২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ইরানে বিদ্যমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে। মূলত কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের আনা এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩টি। বিপক্ষে ৮টি এবং ১৬টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।


বাংলাদেশ সে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য যেসব দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইরানের পক্ষে ভোট দেয়, সেসব দেশ হচ্ছে বলিভিয়া, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, কাজাখস্তান, পাকিস্তান ও ভিয়েতনাম। মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ কোন ক্লাবে যোগ দিয়েছে, এই তালিকা অনেকটা স্পষ্ট আভাস দেয়। ভোটদানে বিরত দেশগুলোর মধ্যে ছিল ভারত, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা।


বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ইরানের প্রতি একধরনের সহমর্মিতা আছে। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এমনকি বাম চিন্তাধারার ছাত্রদের মধ্যেও চরম ডান এবং নির্যাতনকারী রেজা শাহর পতনে ইরানি বিপ্লবের প্রতি একধরনের সমর্থন দৃশ্যমান ছিল।


পরবর্তীকালে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আবুল হাসান বনিসদরকে খোমেনি কর্তৃক বরখাস্তকরণ, প্রাণরক্ষায় তাঁর দেশ থেকে পলায়ন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাদেক কুতুবজাদেহকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মাধ্যমে বিপ্লব–পরবর্তী ইরানের প্রকৃত রূপ উন্মোচিত হয়।


একপর্যায়ে সেখানে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র হয়ে ওঠেন আয়াতুল্লাহ সাদেক খালখালি, যিনি সারা দেশে ঘুরে ঘুরে বিরুদ্ধ মতাবলম্বীদের পাইকারি হারে মৃত্যুদণ্ড দিতে থাকেন। যেকোনো ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যা হয়, ইরানের এ পশ্চাদ্‌যাত্রায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী সমাজ। পর্বতপ্রমাণ সমস্যায় নিমজ্জিত দেশটির এ সপ্তাহের অগ্রাধিকার, মেয়েরা হিজাব আইন ঠিকমতো মানছে কি না, তা মনিটর করতে জনসমাগম হয়, এমন সব স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন!


অনেক দিন থেকেই ইরানের পরিস্থিতি মানবাধিকার কাউন্সিলের অন্যতম উদ্বেগের বিষয়। নিকট অতীতে ২০২২ সালের ২৪ নভেম্বর মানবাধিকার কাউন্সিল এস৩৫/১ নম্বর প্রস্তাব পাস করে। যার শিরোনাম ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানে ক্রমাবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষত নারী ও শিশুসংক্রান্ত বিষয়ে। প্রস্তাবে একটি স্বাধীন তথ্যানুসন্ধান মিশন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার কাজ হবে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে শুরু হওয়া বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষত নারী ও শিশুদের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে অনুসন্ধান; এ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা এবং ইরান সরকার, সিভিল সমাজ ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও