সন্তানের বন্ধু হতে কী করবেন

সমকাল প্রকাশিত: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০১

শিশু লালনপালন এমন একটি বিষয় যেখানে বাবা-মায়েদের প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় তারা বুঝতে পারেন না কী করতে হবে এবং কীভাবেই বা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন হলে প্রথমেই সন্তানের বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। এতে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।


মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও অধিকাংশ বাবা-মাই বিফল হন। সেক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস মেনে চলতে পারেন।


বকাবকি নয়, বুঝিয়ে বলুন: কোনও ঘটনা ঘটলে অনেক শিশু তা গভীরভাবে অনুভব করে। তবে সবাই যে এমনটা করতে পারে, তা নয়। অনেক শিশুর পক্ষেই সব বুঝে ওঠা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তবে যারা গভীরভাবে সব কিছু অনুভব করে, তাদের কথায় কথায় বকাঝকা করা উচিত নয়। তাতে তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। শিশু কোনো ভুল করলে তার সঙ্গে ভালো করে আলোচনা করুন। তাকে সবটা বুঝিয়ে বলুন। অযথা বকাবকি না করে বরং আপনি যে তার পাশে রয়েছেন, সে কথা বুঝিয়ে বলুন। যাতে তা শিশুর মন পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এমন হলে সন্তান আপনাকে তার মনের সব কথা খুলে বলার সাহস পাবে।


কঠিন পরিস্থিতিতে সন্তানের পাশে থাকুন: বড়রা প্রায়ই শিশুদের বলেন, এটা করবে না, ওটা করবে না । এই ধরনের উপদেশ অনেক শিশুই পছন্দ করে না। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সহানুভূতি এবং কী ভাবে তাকে নির্দেশ দিচ্ছেন সেই বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। সন্তানরা সমস্যায় পড়লে সেদিকে মনোযোগ দিতে ভুলে যান বেশিরভাগ বাবা-মায়েরাই। এই ভুলটা এড়িয়ে চলতে হবে। মনে রাখবেন, শিশুদের বোঝানোর মাধ্যমে যে কোনও সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব।


সব শিশুর মানসিকতা এক নয়: সব শিশু একরকম হয় না। যা আপনার শিশুর জন্য উপযুক্ত তা অন্যের জন্য নাও হতে পারে। প্রতিটি শিশুর মুড ও প্রকৃতি আলাদা।  এ কারণে সব শিশুর ওপর একই রকম কৌশল কাজে নাও পারে। বাবা-মা হিসেবে আপনার শিশুর জন্য কোনটা ভালো, আর কোনটা নয়, তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা চালান। তার মনের গভীরে পৌঁছে গিয়ে দুঃখ-কষ্ট বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যতদিন না পর্যন্ত এই কাজটি করে উঠতে পারছেন, ততদিন পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সন্তানের বন্ধু হতে পারবেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও