তরমুজের খোসা খাবেন যে ৭ কারণে
রমুজের প্রায় পুরোটাই পানি। ফলে তীব্র গরমে আমাদের পানির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে সুমিষ্ট এই ফল। আমরা তরমুজ খেয়ে এর খোসা বা ভেতরের সাদা অংশ ফেলে দিই। তবে এই অংশ পুষ্টিগুণে তরমুজের চেয়ে কোনও অংশেই কম নয়! তরমুজের খোসা মানে কিন্তু সবুজ অংশ নয়, সাদা অংশের কথা বলা হচ্ছে। তরমুজ খাওয়ার পর যে সাদা অংশটি আমরা না খেয়েই ফেলে দিই- সেই অংশ আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। এমনটা বলছে টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকা এবং হেলথলাইন ওয়েবসাইট।
১। তরমুজের খোসায় রয়েছে সিট্রুলাইন, যা এনার্জির ঘাটতি মেটাতে পারে। সিট্রুলাইন রক্তনালী প্রসারণ করতেও সাহায্য করে। ওয়ার্ক আউটের সময় সিট্রুলাইনের পরিপূরকগুলো আমাদের পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ করে, ফলে এনার্জি বাড়ে আমাদের।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে তরমুজের ভেতরের সাদা অংশ।
৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
৪। প্রচুর ফাইবার মেলে তরমুজের এই অংশ থেকে। নিয়মতি খেলে তাই হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায়।
৫। রক্তে কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৬। তরমুজের খোসায় ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এটি।
৭। লাইকোপেন জাতীয় উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে তরমুজের খোসায়। উপাদানটি জ্বালাপোড়া কমিয়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন তরমুজের সাদা অংশ?
সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায় তরমুজের এই অংশ। আবার আচার বা হালুয়াও করা যায় তরমুজের সাদা অংশটি দিয়ে। লাউয়ের মতো ছোট ছোট টুকরো করে ডাল বা রান্না করে খেতে পারেন। এর স্বাদ অনেকটা চালকুমড়োর মতো। ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে খেতে পারেন। এজন্য বোতল ভর্তি পানিতে তরমুজের খোসার সাদা অংশ টুকরা করে দিয়ে দিন। সঙ্গে পুদিনা পাতা, লেবু বা শসাও দিতে পারেন। সারারাত এভাবে রেখে পরদিন পান করুন এই পানি। বরফকুচি ও পুদিনা পাতা দিয়ে তরমুজের খোসা ব্লেন্ড করে জুস বানিয়ে খেতে পারেন। তরমুজের সাদা অংশ ছোট টুকরা করে কেটে লবণ ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন কাঁচাই।