রোদে পোড়াভাব দূর করার ১১টি পন্থা

বিডি নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৪৬

মৃদু রোদে পোড়াভাব সারতে তিন থেকে পাঁচদিন সময় লাগে।


আর ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারে এর গতি আরও দ্রুত ও কার্যকর হয় বলে জানান নিউ ইয়র্ক’য়ের ত্বক-বিশেষজ্ঞ ডা. ডেবরা জালিম্যান।


ইনসাইডার ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ডা. জালিম্যান-সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞের দেওয়া পন্থাগুলো অবলম্বনে রোদে পড়াভাব কমানোর কয়েকটি ঘরোয়া উপায় জানানো হল।


ঠাণ্ডা পানিতে গোসল


রোদে পোড়াভাব ত্বকে জ্বলুনি ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই সময়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল বা ঠাণ্ডা পানিতে ডুবে থাকা উপকারী।


অ্যালো ভেরা জেল ও ময়েশ্চারাইজার


অ্যালো ভেরা জেলে আছে প্রদাহরোধী উপাদান যা ব্যথা, জ্বলুনি ও খসখসেভাব কমায়।


পরামর্শ: অ্যালো ভেরা জেল আকারে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন জেল রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করে ব্যবহারে করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


ব্যথানাশক ব্যবহার


আইব্রুফেন বা অ্যাস্পিরিনের মতো ব্যথানাশক রোদেপোড়াভাব ও লালচে ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে। রোদে পোড়াভাব লক্ষ করার সাথে সাথে এই ধরনের ওষুধ সেবনে উপকার পাওয়া যায়।


রোদ থেকে দূরে থাকা


তাপ আক্রান্ত স্থানকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই রোদ থেকে দূরে থাকতে হবে। আর বাইরে যাওয়ার সময় ত্বক ভালো মতো ঢেকে উন্নত ও উচ্চমাত্রার এসপিএফ ব্যবহার করা উচিত।

প্রচুর পানি পান


রোদে পুড়লে দেহ থেকে তরল বের হয়ে যায়। ফলে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। ত্বকের আরোগ্য লাভের জন্য আর্দ্রতা রক্ষা করা প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন নারীদের কমপক্ষে ২.৭ লিটার ও পুরুষদের ৩.৭ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। 


ঠাণ্ডার চাপ প্রয়োগ


ঠাণ্ডা ভেজা কাপড় রোদে পোড়া স্থানে চাপ দিয়ে রাখলে আরাম পাওয়া যায়। দিনে কয়েকবার এর ব্যবহারে উপকার হয়।


বেইকিং সোডা প্রদাহ রোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা ব্যথা ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। সামান্য পরিমাণ বেইকিং সোডা ঠাণ্ডা পানিতে গুলে শীতল চাপ প্রয়োগে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।


ঢিলা পোশাক পরা


আঁটসাঁট পোশাকে দেহের পোড়া অংশে ঘষা লেগে জ্বলুনি ও ফোলাভাব বাড়ে।


ফ্লোরিডার ‘রিভারচেজ ডার্মাটোলজি’র ত্বক বিশেষজ্ঞ স্টেসি সিমেন্টো বলেন, “আঁটসাঁট পোশাক বাড়তি তাপ ধরে রাখে। এতে জ্বলুনি বাড়ে। তাই ঢিলেঢালা পোশাক পরলে গরম ও জ্বলুনি দুটাই কম হয়।

ওটমিল ব্যবহার


রোদে পোড়া স্থানে ওটমিল ব্যবহারে আরাম পাওয়া যায়। এটা ত্বকের ওপরে একটা সুরক্ষার স্তর সৃষ্টি করে। এতে থাকা ভিটামিন ই ত্বক কোমল ও মসৃণ করতে সহায়তা করে।


এক কাপ ওটমিলের সঙ্গে কয়েক টেবিল-চামচ বেইকিং সোডা মিশিয়ে গোসল করার পরামর্শ দেন, সিমেন্টো।


সাবান ব্যবহার না করা


সাবান ত্বককে শুষ্ক ও অস্বস্তিকর করে তোলে। রোদে পোড়া স্থানে সাবানের পরিবর্তে লোশন, অ্যালো ভেরার জেল এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেন, ডা. সিমেন্টো।


দুধ ব্যবহার


সিমেন্টো বলেন, “দুধে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ডি এবং এ, যা ত্বক সুস্থ করে তোলে।


দুধের ল্যাক্টিক অ্যাসিড প্রদাহ কমায় এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করার পাশাপাশি শীতল করতে সহায়তা করে।


পরামর্শ: একটা পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে রোদে পোড়া স্থান ঢেকে দিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। 


পর্যাপ্ত বিশ্রাম


ঘুমের মধ্যে ত্বক পুনর্গঠিত হয়।


সিমেন্টো বলেন, “দেহ ঘুমের মধ্যে প্রদাহ, ত্বকের ক্ষত এমনকি পোড়াভাব সারাতে কাজ করে। তাই ত্বক পুনর্গঠনে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।”


দৈনিক সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুম দেহের জন্য উপকারী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও