কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নিয়ত শোকের সঙ্গে বসবাসেও জিইয়ে থাক আশা

প্রথম আলো খান মো. রবিউল আলম প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:০৩

বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে গেল। পুড়ল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, জামাকাপড়, জীবন-জীবিকা। পুড়ল ব্যবসায়ীদের হৃদয়। দেশে-বিদেশে হাজারো মানুষ প্রযুক্তির কল্যাণে আগুনের এ দীর্ঘ ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করেছে।


প্রযুক্তির কল্যাণে শোকে সংযুক্তি বেড়েছে। মানুষ সংযুক্ত হচ্ছে সুখে-দুখে-আনন্দ-উৎসবে। বঙ্গবাজারের আগুনের তাপ পৌঁছে গেছে সিডনি, টরন্টো, নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাভাষীদের কাছে।


এ বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি হয়তো একদিন পূরণ হয়ে যাবে, কিন্তু মনের গহিনে যে ক্ষত তৈরি হলো, তা থাকবে দীর্ঘদিন। দুর্ঘটনার দগদগে ছবি, ধোঁয়ার কুণ্ডলী, পুড়ে যাওয়া জামাকাপড় আর মানুষের হাহাকারের শেষ ঠিকানা জনস্মৃতি। জনস্মৃতিতে নিয়ত বাজছে বেদনার ঢং ঢং ঘণ্টা।


এ সমাজ এত ঘটনাবহুল হয়ে উঠল, ভাবা যায় না। সমকালীন ইস্যুগুলোর দিকে একটু চোখ রাখলে দেখা যায়, স্যার, রুচির সংকট, সাংবাদিক গ্রেপ্তার, বঙ্গবাজারে আগুন। ইস্যুর অভাব নেই। দম ফেলার জো নেই। জনস্মৃতি আজ নেতির ভান্ডার। ঘটনাপ্রবাহ জনগণকে তাৎক্ষণিকতার মধ্যে বাস করতে বাধ্য করছে। ব্যক্তি তাৎক্ষণিক হয়ে উঠছে। সামনের ও পেছনের থাকছে না তার কোনো স্মৃতিস্মারক।


জনস্মৃতিতে সুখকর কিছু জমছে না। অথচ জনস্মৃতি হলো অনুভবের এক বিশেষ বুনন। মার্ক্সবাদী সাংস্কৃতিক তাত্ত্বিক রেমন্ড উইলিয়াম যাকে বলেছিলেন স্ট্রাকচার অব ফিলিং, অর্থাৎ অনুভব কাঠামো, যা মানুষের বিবেক ও সম্পর্কবোধের এক বিশেষ নির্মাণ। অনুভব কাঠামো হলো বিনিসুতার মালা। ব্যক্তি ও সমাজজীবনের অদেখা বুনন। এ বুননের ওপর সমাজ টিকে থাকে। সম্পর্ক আর ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয় অনুভব কাঠামো ও জনস্মৃতি। সমকালীন জনস্মৃতির ফ্রেম দুঃখ-কষ্টের ভঙ্গুর রসায়ন। জনস্মৃতি আজ সংযুক্তি নয়, বিভক্তির স্মারক হয়ে উঠেছে।


যা হোক, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে টাকার হিসাবে শোক মাপতে বসি। টাকার প্রসঙ্গটি আসে দ্রুতগতিতে। টাকার পরিমাণ আর সংখ্যার ভেতর জীবনের বিপর্যয় খুঁজি। দিন শেষে সবকিছু হয়ে ওঠে পরিসংখ্যাননির্ভর। দুর্ঘটনার হিসাব কষতে টাকামুখী মানুষের এ এক বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি।


এতে করে শোকের পরিধি অধরা থেকে যায়। শোকের আয়ু কমিয়ে ফেলা হয়। তুরস্কের কবি নাজিম হেকমত যেমনটি বলেছেন, বিংশ শতাব্দীতে মানুষের শোকের আয়ু বড়জোর এক বছর। বঙ্গবাজারের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটবে না। এ শোকের আয়ু হয়তো হবে এক সপ্তাহ বা বড়জোর এক মাস। আরেকটি ইস্যু আসবে। খোলা হবে শোকের খাতা। এরপর পূরণ হতে থাকবে শূন্য ঘরগুলো। কেবল পরিসংখ্যানের ভেতর সত্য থাকে না। সত্য থাকে না কোনো একক মাত্রায়। মানসিক বিপর্যয়ের কোনো পরিসংখ্যানগত হিসাব হয় না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও