কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির একটি দাবি পূরণ করল নির্বাচন কমিশন!

প্রথম আলো সোহরাব হাসান প্রকাশিত: ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:০৩

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে , তা তাদের আগের অবস্থানের বিপরীত। আগে তারা বলেছিল, ৩০০ আসনে ভোট করার সক্ষমতা তাদের নেই। তবে সরকার টাকা দিলে ১৫০টি আসনে ভোট করতে পারবে। আর টাকা না দিলে যেসব মেশিন তাদের কাছে আছে, সেসব দিয়ে ৭০-৭৫টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে। কিন্তু এখন বলছে, মেশিনগুলো মেরামতের জন্য সরকারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছিল। সরকার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এখন সব আসনেই ব্যালটে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ জন্য নতুন ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল ইসি। তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সে প্রকল্প আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে দেড় লাখ ইভিএম কিনেছিল। এখন এসব ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার যন্ত্র নষ্ট। বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএমেরও মেরামত প্রয়োজন।


সোমবার ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘ইভিএম মেরামতের জন্য প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন। সেই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। যেহেতু সব ইভিএমই মেরামত করতে হবে, সে পরিমাণ অর্থ নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। এ ছাড়া এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তা ছাড়া রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাবের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।’


উল্লেখ্য, ইভিএমে ভোট নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে বহু বছর আগে থেকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর জোটসঙ্গীরা ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোট করার দাবি জানিয়ে আসছে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর সহযোগীরা বলছে, কোনোভাবে ইভিএমে ভোট করা চলবে না। বিস্ময়কর যে অন্যান্য বিষয়ে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেও ইভিএমের ঘোর বিরোধী।


আমরা খোলা চোখে দেখতে পাচ্ছি যে ক্ষমতাসীনেরা ইভিএমে জাতীয় নির্বাচনের যে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল, সেটি আর পূরণ হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশন আর্থিক অক্ষমতার পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্যের অভাবের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলেছে। আমাদের প্রশ্ন হলো রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়টি কি কেবল ইভিএমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য? নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে নয় কেন? নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা। ২০১৪ সালের নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ১৫৪টি আসনে প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলেও সুষ্ঠু হয়নি। দেশে বিদেশে এই দুই নির্বাচন ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এ কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও বলছেন, আগামী নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৮এর মতো হবে না। কিন্তু একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ দরকার তা থেকে বর্তমান বাংলাদেশ এখনো অনেক দূরে।


সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই নির্বাচনের আয়োজন করবে। কিন্তু তাদেরও নির্বাচন করার মতো যথেষ্ট লোকবল নেই। নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকার, তথা জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়। সমস্যাটি এখানেই। একসময় এ দেশে নির্বাচন কমিশন ছাড়াই নির্বাচন হতো। এখন ‘শক্তিশালী ও সার্বভৌম’ কমিশন করেও সেই নির্বাচন করা যাচ্ছে না। নির্বাচন মানে, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ। নিয়ম রক্ষার নির্বাচন অনেক দেখেছে দেশের মানুষ। আবার অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বাদও তারা উপভোগ করেছে।  উদাহরণ হিসেবে ১৯৯১, ১৯৯৬ (১২ জুন) ২০০১ ও ২০০৮-এর নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে ও পরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তার প্রতিটি ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।


ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও বলেছেন, তাঁরা আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত নির্বাচন চান না। তাহলে অ-প্রশ্নবিদ্ধ ও অবিতর্কিত নির্বাচনটি কীভাবে হবে। বিরোধী দল বলছে, সংবিধান পরিবর্তন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সেই নির্বাচন হতে হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও তার জোটসঙ্গীরা বলছে, সংবিধান মেনেই নির্বাচন হতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও