চার বছরেও সতর্কবার্তা গায়ে মাখেননি বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা: ফায়ার সার্ভিস
ভয়াবহ আগুনে ঢাকার বঙ্গবাজার পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, চার বছর আগেই ঝুঁকির কথা ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। একাধিকবার নোটিস দিলেও তারা সতর্ক হননি।
ঢাকায় কাপড়ের অন্যতম বড় এই বাজারে মঙ্গলবার ভোরে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটের পাশাপাশি সেনা বাহিনী ও বিমানবাহিনীর দুটি দল প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এরই মধ্যে বঙ্গবাজার মার্কেট, মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট ও গুলিস্তান মার্কেট পুরোপুরি ভষ্মীভূত হয়। পাশের এনেক্সকো টাওয়ার এবং আরও কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় আগুনে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন ভোর থেকেই সেখানে অবস্থান করে বাহিনীর কর্মীদের কাজ তদারকি করছিলেন।
উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে তিনি বলেন, “২০১৯ সালে বঙ্গমার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ বলে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও তারা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তারা ছাড়াও অন্য কোনো সংস্থা বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি।”
আগুন কীভাবে লাগল জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়টি এখন বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।”
আগুন নির্বাপনে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যা করে ফায়ার সার্ভিস মহাপরিচালক বলেন, “এখানে অনেক বাতাস, যার জন্য অনেক সময় লাগছে।”
ফায়ার সার্ভিস যখন বঙ্গবাজারে প্রাণপাত করে চেষ্টা করছিল, সে সয় বঙ্গবাজারের উল্টো পাশে বাহিনীটির সদরদপ্তরে হামলা করে কিছু মানুষ। এ নিয়েও দুঃখ প্রকাশ করেন মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, “আমরা এই ঘটনায় অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত যে এত বড় একটা আগুন এখানে লেগে গেল।… আমি মর্মাহত আরেকটি কারণে।
“ফায়ার সার্ভিস সব সময় জনগণের সেবায় জীবন দেয়। শুধু আমরা আগুন নির্বাপন করি না, জনগণের সেবায় আমরা জীবন দিই। কিন্তু আজকে আমাদের সদরদপ্তরে জনগণ ঢুকে আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছে, আমার হেডকোয়ার্টারে নতুন যে ভবন হয়েছে, সেটি ভাঙচুর করেছে। আমি খুবই মর্মাহত, আপনাদের জন্য আমরা জীবন দিই, সেই আপনারা আমাদের ওপর হামলা করলেন।”