![](https://media.priyo.com/img/500x/https://assets.telegraphindia.com/abp/2023/Mar/1679885782_price-hike.jpg)
পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার ৫ দশকে সর্বোচ্চ
গত কয়েক মাস ধরেই পাকিস্তানের আর্থিক দশা শোচনীয়। সম্প্রতি সরকারি গণবণ্টন কেন্দ্র থেকে আটা বিতরণের সময়ে পদপিষ্ট হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবরেও আর্থিক দুরবস্থার ইঙ্গিত স্পষ্ট ছিল। এ বার সরকারি পরিসংখ্যানও সেই অবস্থাকেই তুলে ধরেছে। গত মার্চে পাকিস্তানে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছেছে ৩৫.৩৭ শতাংশে। যা গত পাঁচ দশকে সর্বাধিক। গত মাসের সাপেক্ষে মূল্যবৃদ্ধির হার ৩.৭২ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা গড়ে ২৭.২৬ শতাংশ।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। আটা, চিনি, ভোজ্য তেলের দাম ক্রমাগত বেড়েছে। এর ফলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিম্ন আয়ের মানুষদের। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, রমজান মাসে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন স্থলে খাবার নেওয়ার জন্য উপচেপড়ছে ভিড়।
মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে সরকারের তরফে সুদের হার বৃদ্ধি, অত্যাবশ্যক খাদ্যদ্রব্যের উপরে আমদানি শুল্ক হ্রাসের মতো নানা পদক্ষেপ করা হলেও তার প্রভাব খুবই সীমিত।
দেনার দায়ে গত কয়েক মাসে পাকিস্তানে ক্রমশ কমেছে বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) সাহায্য পাওয়ার জন্য তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ায় কোপ পড়েছে জনমোহিনী প্রকল্পে। আর্থিক নীতির প্রভাবে প্রায় ২০ হাজার নাগরিকের কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, যন্ত্রাংশ জুড়ে মোবাইল ফোন তৈরির ৩০টি সংস্থা ইতিমধ্যেই কারখানা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে।
- ট্যাগ:
- আন্তর্জাতিক
- সর্বোচ্চ
- মূল্যবৃদ্ধি