গাঁটে ব্যথা হলে এড়িয়ে চলুন এই ৫ খাবার
প্রতিটি মানুষের শরীরেই ইউরিক অ্যাসিড থাকে। এটি নির্দিষ্ট মাত্রায় থাকলে সমস্যা নেই। তবে মাত্রার অতিরিক্ত হয়ে গেলে দেখা দেয় নানা জটিলতা। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পেলে তা গাঁটে গাঁটে জমে। ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল আকারে জয়েন্টে জমে। যে কারণে আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়। এর কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।
আপনার শরীরের নানা সমস্যার জন্য অন্যতম দায়ী হতে পারে গ্রহণকৃত খাবার। তাই কী খাবার খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখুন। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে গাঁটে ব্যথা বেড়ে যায়। তাই সেসব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-
রেডমিট
সব দেশেই বিভিন্ন প্রকারের রেডমিট খাওয়া হয়। আমাদের কাছে পরিচিত রেডমিট হলো গরু, মহিষ, খাশির মাংস। এই ধরনের মাংস খেলেও সমস্যা বাড়তে পারে। কারণ রেডমিটে থাকে বেশ খানিকটা পিউরিন। গাঁটে ব্যথার সমস্যা সৃষ্টির জন্য এই পিউরিন দায়ী হতে পারে। তাই এ ধরনের সমস্যা থাকলে রেডমিট পুরোপুরি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। হঠাৎ কখনো খেলেও খুব সামান্য খান, কারণ অতিরিক্ত খেলে তা সমস্যা ফিরিয়ে আনতে পারে।
মদ্যপান
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক বলছে, মদ্যপান করলে তা গাঁটে ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। গবেষণায় দেখা গেছে, মদ্যপান করলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। একই সমস্যা দেখা দেবে বিয়ার পান করলেও। তাই এ ধরনের সমস্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
অর্গান মিট
গরু বা খাশির কলিজা, ফুসফুস ইত্যাদি খেলেও গাঁটে ব্যথা বাড়তে পারে। কারণ অর্গান মিট খেলে শরীরে পিউরিন বৃদ্ধি পায়। যে কারণে গাঁটে ব্যথা বাড়তে পারে। আপনার যদি গাঁটে ব্যথার সমস্যা থাকে তবে এ ধরনের অর্গান মিট খাওয়া বাদ দিতে হবে। এতে সুস্থ থাকা সহজ হবে
কোল্ড ড্রিংকস
কোল্ড ড্রিংস খান না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বিশেষ করে গরমের সময়ে কোল্ড ড্রিংকস খুবই পরিচিত পানীয়। এটি খেতে যত সুস্বাদু, শরীরের জন্য ততই ক্ষতিকর। কারণ এই পানীয়তে থাকে অত্যাধিক চিনি। এর ফলে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। তাই এ ধরনের ড্রিংকস এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষ করে যারা গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন, তারা এই পানীয় থেকে দূরে থাকলেই ভালো থাকবেন।
কর্ন সিরাপ
কর্ন সিরাপ দিয়ে তৈরি পানীয় খান অনেকেই। কিন্তু এই কর্ন সিরাপ খেলেও গাঁটের সমস্যা বাড়তে পারে কয়েকগুণ। এই সিরাপে থাকে থাকে ফ্রুকটোজ। ফ্রুকটোজ গাঁটের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। বাড়িতে তৈরি লাচ্ছি, ঘোল ইত্যাদি খেতে পারেন। সেগুলো উপকারী।