কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা, বার্তাটি আরও কঠোর

প্রথম আলো আলী রীয়াজ প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৮:৩৩

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলার পর দেশে ও বিদেশে এ আইনের নিন্দা করে যেসব বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে, তা মোটেই বিস্ময়কর নয়। একই সময়ে যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিক মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধেও চট্টগ্রামে এ আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে।


এ পটভূমিকায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশজুড়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন এবং অনলাইনে সমালোচকদের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।’


২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এ আইনের খসড়া প্রণয়নের সময়ই এ নিয়ে উদ্বেগ-আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। তখনই বলা হয়েছিল যে এই আইন নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান না করে কণ্ঠ রোধ করবে। এই আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া, কার্যকর করার বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং এ বিষয়ে প্রতিবাদ—কিছুই সরকারের অবস্থানে ন্যূনতম পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি। এ আইন যে সাংবাদিকতার জন্য এক ‘দুঃস্বপ্নে’ রূপ নেবে, দেশের সম্পাদক পরিষদের নেতারা আগেই বলেছিলেন। বাস্তবেও তাই-ই হয়েছে।


এসব সমালোচনা এবং বাস্তবে এই আইনের ভয়াবহ ব্যবহারের প্রেক্ষাপটে সরকারের মন্ত্রীরা মাঝেমধ্যে ‘এই আইনের কিছু অংশের অপপ্রয়োগ হচ্ছে’, ‘এই আইনের সংশোধন করা হবে’ বলে মন্তব্য করে থাকেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত বৃহস্পতিবার বলেছেন যে নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে ‘নিহত’ সুলতানা জেসমিনের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে।


১৪ মার্চ নাগরিকদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) সমস্যা দূরীকরণে আলোচনা চলছে, সেখানে সব পক্ষের কথা শোনার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ কিন্তু অতীতে ‘সকলের কথা শোনা হবে’ ধরনের প্রতিশ্রুতি যে নেহাতই শিশু ভোলানো ছড়ার মতো বলা হয়েছে, তা বুঝতে কষ্ট হয় না। কেননা, এই আইন প্রণয়নের সময় মন্ত্রীরা সাংবাদিক নেতাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁদের আপত্তিগুলো বিবেচনা করা হবে। কিন্তু তাঁদের কথাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকার বা মন্ত্রীরা এ নিয়ে কোনো রকম ব্যাখ্যা দেওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি।


দুর্ভাগ্যজনক যে সাংবাদিক নেতারা এ নিয়ে মন্ত্রীদের প্রশ্ন করেছেন, এমন শোনা যায়নি। খসড়া আইন এবং সংসদে পাস হওয়া আইনের মধ্যকার পার্থক্য যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, সাংবাদিক নেতাদের কথাকে অগ্রাহ্য করা হলেও পুলিশের আপত্তি অগ্রাহ্য করা হয়নি। এ আইনের খসড়ায় এ আইনের প্রয়োগে, বিশেষত কাউকে আটকের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদন নেওয়ার যে বিধান রাখা হয়েছিল, তা পুলিশের আপত্তির কারণে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক স্বীকার করেছিলেন, এ আইনের ‘অপপ্রয়োগের’ ঘটনা ঘটছে ও আইন সংশোধন করা হবে। তিনি বলেছিলেন, তাঁর মন্ত্রণালয়ের বিচার বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং এ কমিটি আইনের দুর্বলতা বা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করবে ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে। এ আলোচনায় কী অগ্রগতি হয়েছে, তা কেউই জানেন না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও