প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্ত
সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।
কারামুক্তির পর শামসুজ্জামান সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারা দেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তাঁরা আমার পাশে ছিলেন। তারা চেষ্টা করেছেন। সবার প্রতি আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।’ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার অফিস থেকে শুরু করে দেশের সাংবাদিক সমাজ, আমার ক্যাম্পাসের ছোটভাইয়েরা যারা আমার সঙ্গে সবসময় ছিলেন। এটা আমার আনন্দের বিষয়।’
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় জামিন পান শামসুজ্জামান। আজ দুপুরের পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দ্বিতীয়বার জামিন আবেদন করেন শামসুজ্জামান। অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শামসুজ্জামানের পক্ষে আদালতে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মাহবুবুল হক, আশরাফ-উল-আলম, চৈতন্য চন্দ্র হালদার, সুমন কুমার রায়, বাহাউদ্দিন ইমরান, আমিনুল গণি।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে। পরে রমনা থানা-পুলিশ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে।
গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন। নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তাঁর ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান। পরে শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান তাঁরা।