বেকারের দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বুধবার প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এ চমকপ্রদ একটা তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হচ্ছে, গত পাঁচ বছরে বেকারের সংখ্যা কমেছে ৭০ হাজার। তবে আপাতদৃষ্টে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে বলেই মনে করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। বর্তমানে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩০ হাজার। বর্তমানে বেকার জনগোষ্ঠীর হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। কৃষি খাতে শ্রমশক্তি তিন কোটি ২২ লাখ। শিল্পে শ্রমশক্তি ১ কোটি ২০ লাখ ৫ হাজার। বাকিটা রয়েছে সেবা খাতের সঙ্গে।
কোভিড ১৯-এর পর শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমেছে এবং কৃষি ও সেবায় বেড়েছে। পাঁচ বছর পর এই পরিসংখ্যান উপস্থাপন করায় এ প্রশ্ন ওঠা সঙ্গত ও স্বাভাবিক যে, কোভিড ১৯-এর সময় যে হারে বেকারের সংখ্যা বেড়েছিল- এর প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। আবার বেকারের এই সংখ্যার সঙ্গে ছদ্মবেশী বেকারের সংখ্যা যুক্ত করা হয়নি। এই নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান সানেম মনে করেÑ বেকারত্বের এই হারের সঙ্গে যদি ছদ্মবেশী বেকারের সংখ্যা যুক্ত হয়, তা হলে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা হবে এক কোটিরও ওপরে।