সালাদ খেলে কি ওজন কমে?
বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলতে হলে দুপুরে বা রাতে সালাদ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ওজন কমিয়ে রোগা হওয়ার সময় পুষ্টিবিদরাও ডায়েটে সালাদ রাখার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, সকালের নাশতা কিংবা দুপুরের খাবারের পর খালাদ খাওয়া ভালো।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি কী খাচ্ছেন, তার উপর ভিত্তি করে ওজন বাড়ে বা কমে। সেই সঙ্গে যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাহলে পদ্ধতিটা একটু দ্রুত হয়৷ তবে ওজন কমাতে হলে প্রতিদিন সালাদ খাওয়া কতটা জরুরি তা জানানো হয়েছে গণমাধ্যম 'এই সময়ের' এক প্রতিবেদনে।
যে ঋতুতে যে ফল বা সবজি পাওয়া যায় সালাদে তাই রাখতে বলেন পুষ্টিবিদরা। গোটা বিশ্বে খাবারের সঙ্গে সালাদ পরিবেশন করা হয়। কারণ ফল বা কাঁচা সবজির অনেক গুণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবারের মধ্যে অনেক রকমের উপকারী যৌগ থাকে। যেমন- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং পলিফেনল, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এর ফলে হজমের সমস্যা কমতে সময় লাগে না। গ্যাসের প্রকোপও কমে। তাছাড়া সালাদে থাকা সবজি এবং ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সালাদ আপনার জৈবিক ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। তাই কেউ কেউ সালাদ খেয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। বিশেষ করে কেউ পেট এবং অন্ত্রের সমস্যায় ভুগলে অথবা দীর্ঘস্থায়ী কোনও অসুখ থাকলে শাকসবজি বা ফল খাওয়ার সময় সতর্ক থাকা উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে নিতে পারেন।
আপাতদৃষ্টিতে সালাদ বলতেই প্রথমেই চোখের সামনে যা ভেসে ওঠে, তা হল শসা, টমেটো, পেঁয়াজ আর শীতকালে গাজর বা বিট। অনেকেরই ধারণা, শসা খেলে সহজেই ওজন ঝরানো যায়। তাই সারা দিন নানা উপায়ে তারা শসা খান। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, ওজন কমাতে হলে শুধু শসা খেলে চলবে না। ভাত, রুটি কম খাওয়ার পাশাপাশি শরীরে পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন সবজি খাওয়া জরুরি। যেমন- গাজর, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি এবং অ্যাভোকাডো ইত্যাদি। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও করুন। এতে দ্রুত ওজন কমবে।