কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ‘ব্যবহার’

সমকাল আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০০

নওগাঁয় সুলতানা জেসমিন নামে যে নারী র‌্যাবের নিরাপত্তা হেফাজতে মারা গেছেন, তাঁকে আটক করা হয়েছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা দায়েরের আগে এবং মামলা হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গত ৩০ মার্চ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বয়ং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনকে যখন তুলে নেওয়া হয় তখন তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো মামলা ছিল না। পরে এ আইনে মামলা করা হয়েছে। এখানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করা হয়েছে।’ (সমকাল, ৩১ মার্চ ২০২৩)।


এখানে স্পষ্টত অপরাধ দুটি। ১. হেফাজতে মৃত্যু এবং ২. মৃত ব্যক্তির নামে এমন একটি আইনে মামলা, যেটি সংসদে পাস হওয়ার আগে থেকেই নানা ফোরাম থেকে আপত্তি জানানো হচ্ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে আর কোনো আইন নিয়ে এত বেশি বিতর্ক ও সমালোচনা হয়নি। আইনমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, সুলতানা জেসমিনকে আটকের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এটি যদি আইনের ‘অপব্যবহার’ হয়, তাহলে ‘ব্যবহার’ কী?


র‌্যাবের হেফাজতে মৃত (নিহত) নওগাঁর একটি ইউনিয়ন পরিষদ ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিনের বিরুদ্ধে যেদিন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়, তার কাছাকাছি সময়ে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এবং সাভারে কর্মরত পত্রিকাটির স্টাফ রিপোর্টার শামসুজ্জামান এবং যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মাহবুবুল আলম লাবলুর বিরুদ্ধেও ভিন্ন ভিন্ন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এই আইনে মামলা হয়।


যদিও এই আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, দমন, বিচার ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন। প্রশ্ন হলো, একজন সাংবাদিকের রিপোর্ট কী করে ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের মধ্যে পড়ে এবং এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে কী করে এই আইনে মামলা হয়? পুলিশ কী করে এই মামলা গ্রহণ করে এবং একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়?


স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হওয়ার আগে থেকেই সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন, নাগরিক সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনও আইনের অন্তত ৯টি ধারা সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল। এই দাবিতে মানববন্ধন এবং সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও কাজে আসেনি। বরং আইনটি সংসদে পাস হয়ে যায় এবং যেভাবে আইনটির অপব্যবহার হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল, তা-ই হতে থাকে।


তবে সাংবাদিক ও নাগরিক সংগঠনগুলোর কোনো দাবি আমলে না নেওয়া হলেও পুলিশের একটি আপত্তি ঠিকই আমলে নেওয়া হয়। সেটি হলো, আইনের ৪৩ নম্বর ধারায় তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে সংসদীয় কমিটি ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালকের অনুমোদন নেওয়ার বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুমোদনের বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়। ফলে পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও