ব্রয়লার মুরগির ‘স্বস্তি’ টিকল না পাঁচ দিনও, ফের ২০০ ছাড়াল দাম
চারটি বড় কোম্পানি দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর যে মুরগির দর কেজিপ্রতি দুইশ টাকার নিচে নেমে এসেছিল, তা আবার দিয়েছে লাফ।
পাঁচ দিন আগে রাজধানীর দুটি বড় পাইকারি বাজারে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে।
কারওয়ানবাজার ও মিরপুর শাহ আলী বাজারে এই চিত্র দেখে কয়েকজন ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দুইশ টাকার নিচে নেমে গেছে জেনে কিনতে এসে এই দর দেখে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি তারা।
আহসান মোল্লা নামে এক যুবক বলেন, “শুনলাম ব্রয়লারে দাম ২০০ এর নিচে নেমেছে। তাই ভেবে কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি দাম আবার বেড়েছে। পাঁচ কেজি নেব ভেবে এসেছিলাম, তিন কেজি নিলাম।”
শাহ আলী বাজারে বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, “ব্রয়লার আজকে ২১০ টাকা কেজি মাঝারিটা, আর বড়টা যাচ্ছে ২২০ টাকা কেজিতে। আজকে আমরা কিনছি ১৯৮ টাকায় আর কোম্পানিগুলো খামার থেকে দাম দিয়েছে ১৮৫ টাকা।”
বিক্রেতা রেজাউল করিম জানান, মুরগি সরবরাহকারীরা তাদের ২০২ টাকা দরে মুরগি দিয়েছে। তারা ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন।
ফেব্রুয়ারি থেকে ব্রয়লার মুরগির দর অস্বাভাবিকহারে বাড়তে থাকে। রোজার আগে আগে দর উঠে যায় ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। এরপর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাচ্চা, খাবার ও মুরগি সরবরাহকারী বড় কোম্পানি কাজী ফার্মস, আফতাব, প্যারাগন ও সিপি এবং খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে।
একটি বৈঠকে উঠে আসে, বড় কোম্পানিগুলোর উৎপাদন খরচ ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। কিন্তু তারা পাইকারি বাজারে বিক্রি করছে ২৩০ টাকা পর্যন্ত। এত বেশি মুনাফা করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর গত ১৬ মার্চ চার কোম্পানি মুরগির দর ৪০ টাকা পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দেয়।
পরের সপ্তাহে ২৬ মার্চ মুরগির দর ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় নেমে আসে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে ক্রেতাদের মধ্যে। যদিও ছোট খামারিদের উৎকণ্ঠা বাড়ে। কারণ, তাদের উৎপাদন খরচ বড় কোম্পানির তুলনায় বেশি।
কিন্তু পাঁচ দিনের ব্যবধানে কোম্পানিগুলো ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা থেকে দাম বাড়িয়ে ধরেছে ১৮৫ টাকার আশপাশে। ফলে খুচরা দরও আবার উঠতির দিকে।