কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বিএনপির মিত্রদেরও সংলাপে ডাকছে নির্বাচন কমিশন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৪

নির্বাচন কমিশন (ইসি) নতুন করে সংলাপের যে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, সেটাকে ‘সরকার ও ইসির নতুন কৌশল’ বলে মনে করছে বিএনপি। তবে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোকেও আলাদাভাবে মতবিনিময়ের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। দু–এক দিনের মধ্যে এই দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 


এ ছাড়া ইসি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলসহ নির্বাচনের অংশীজনদের নিয়ে গুচ্ছ সংলাপের পরিকল্পনাও করছে। বিএনপির নেতিবাচক অবস্থানের মুখে নির্বাচন কমিশন আবারও একটি অর্থহীন প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে, নাকি এটি কমিশনের কোনো কৌশল—এ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকদের চাপ সামলানোর অংশ হিসেবে ইসি এ উদ্যোগ নিয়েছে কি না, সে আলোচনাও আছে।


যদিও ২৩ মার্চ আলোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য ইসির আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তা নাকচ করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। এর এক দিন পর গত শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেছেন, ‘সরকার আবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। তার মধ্যে লেটেস্ট কৌশল হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের আমাদের (বিএনপি) একটা চিঠি দেওয়া।’ এ বিষয়ে আজ সোমবার বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরপর ইসির চিঠির জবাব দেওয়া হবে বলে দলটির নেতারা বলছেন।


তবে বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনের শরিকদের সবাই নির্বাচন কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে নেতিবাচক নয়। কেউ কেউ আলোচনা বা সংলাপে যাওয়ার পক্ষে মনোভাব দেখাচ্ছেন। বিএনপির মিত্রদের আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে দলটিকে একধরনের চাপে ফেলার চেষ্টা রয়েছে। এটিকে ইসির কৌশল হিসেবে দেখছে বিএনপি। 


নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান অবশ্য প্রথম আলোকে বলেছেন, তাঁদের এই উদ্যোগের পেছনে ভিন্ন কোনো কৌশল নেই। অন্যতম একটি বড় দল হিসেবে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মনোভাব জানার তাগিদ থেকেই তাদের সঙ্গে কমিশন মতবিনিময় করতে চাইছে। একই সঙ্গে বিএনপির সঙ্গে থাকা দলগুলোর বক্তব্যও জানা প্রয়োজন বলে কমিশন উপলব্ধি করছে। সে কারণে ওই দলগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। তিনি জানান, এই আমন্ত্রণে বিএনপির শরিকেরা দলগতভাবে কমিশনের আলোচনায় অংশ নিতে পারে। আবার চাইলে তারা জোটগতভাবেও যেতে পারে। এমনকি অনানুষ্ঠানিক আলোচনাও হতে পারে। নির্বাচন কমিশন আলোচনার জন্য সব পথ খোলা রাখার কথা বলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও