কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সুপেয় পানির জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকেন উপকূলবাসী

প্রথম আলো কয়রা প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪

খুলনার কয়রা উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণে পাথরখালী গ্রাম। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে মানুষের বসতি। গ্রামের সব নলকূপের পানি লবণাক্ত। এলাকাবাসীকে প্রতিদিন দুই-তিন কিলোমিটার দূর থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করতে হয়। তবে বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় তাঁদের পুকুরের পানি পান করতে হয়।


ছয় সদস্যের পরিবারের জন্য প্রতিদিন এক কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করেন ওই গ্রামের সুমিত্রা দেবী। তিনি বলেন, বর্ষাকালের তিন-চার মাস ছাড়া বাকি সময় খাওয়ার পানির তীব্র সংকট থাকে তাঁদের। পুকুরের পানি খেতে হয়। এ বছর এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টির পানির জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন।


জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার ২২ ও সাতক্ষীরার ১৩ শতাংশ মানুষ খাওয়ার পানির সংকটে ভুগছেন। তবে বাস্তবের চিত্র ভিন্ন। ২০২১ সালে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) জরিপের ফলাফল বলছে, খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা এবং সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলায় বসবাসকারী ৭৩ শতাংশ মানুষ অনিরাপদ লবণাক্ত পানি পান করছেন। প্রতি লিটারে এক হাজার মিলিগ্রামের বেশি লবণাক্ততা থাকলে তা পানযোগ্য নয় হিসেবে বিবেচিত হয়। অথচ ওই উপজেলাগুলোর পানিতে প্রতি লিটারে ১ হাজার ৪২৭ মিলিগ্রাম থেকে ২ হাজার ৪০৬ মিলিগ্রাম পর্যন্ত লবণাক্ততা আছে। এসব এলাকার ৫২ শতাংশ পুকুর ও ৭৭ শতাংশ নলকূপের পানিতে বেশি মাত্রায় লবণাক্ততা পাওয়া গেছে।


প্রকল্পের সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন বলেন, উপকূলীয় পাঁচ উপজেলায় তিন দশক ধরে লবণাক্ততা বাড়ছে। কয়েকটি এলাকায় চিংড়ি চাষের কারণে সুপেয় পানির সংকট বেড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় দুর্যোগে পুকুর লোনাপানিতে ভরে গেলেও সংস্কার করা হয়নি।


জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী আকমল হোসেন বলেন, উপকূলের পানির সমস্যা সমাধানে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে পুকুর খনন ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পানির ট্যাংক বিতরণ করা হচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা জানা গেছে, কয়রা উপজেলার অধিকাংশ এলাকার খাওয়ার পানির প্রধান উৎস পুকুর। উপজেলার মহেশ্বরীপুর, বাগালী ও আমাদি ইউনিয়নে পানির সংকট তীব্র। সেখানকার কোনো নলকূপই কার্যকর নয়। একই অবস্থা মহারাজপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়নের কিছু অংশেও। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও