কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যুক্তরাষ্ট্রের মহা ভুলেই এমন সুযোগ পেয়েছে চীন ও রাশিয়া

প্রথম আলো ডেনিয়েল উইলিয়ামস প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৪

২০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে আগ্রাসন শুরু করেছিল। এই আগ্রাসন কেন প্রয়োজনীয়, সেটার পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বলেছিলেন, ইরাকের জনগণকে মুক্ত করতে এবং বিশ্বকে গভীর বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে এই আগ্রাসন চালানো হয়েছে।


কয়েক সপ্তাহ পর বুশ জোর গলায় দাবি করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সফল হয়েছেন। তাঁরা ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাত করেছেন এবং তাঁর সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন। টম ক্রুজের স্টাইলে বুশ একটি মার্কিন রণতরিতে নামেন—এই ছবিকে মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে জাঁকালো ছবি হিসেবে ধরা হয়। ‘মিশন সম্পন্ন’ লেখা একটা ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে বুশ ঘোষণা করেন, ‘স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে, ইরাক এখন মুক্ত।’


বুশের এই ‘সফলতা’ ভেঙে পড়তে খুব বেশি দিন সময় লাগেনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগে বুশকে ইরাকে ইসলামিক ও সাদ্দামপন্থী বিদ্রোহী দমনে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছিল। কিন্তু বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ইরাকে অবাধেই চলতে থাকে।


ইরাক আগ্রাসনের পর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বেশির ভাগ বিশ্লেষক সাংঘাতিক ভুল এবং গৃহযুদ্ধ, দুর্নীতি ও চিরশত্রু ইরানের হস্তক্ষেপের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল একটি দেশকে স্থিতিশীল করার ব্যর্থতার মতো বিষয়গুলো সামনে এনেছেন। কিন্তু খুব কমসংখ্যক বিশ্লেষক একটা বিষয়ের ওপর নজর দিয়েছেন। বলা চলে, শুরুর দিকে রাশিয়া ও চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে মূল্যায়ন করেননি। এই মূল্যায়ন করতে না পারার ব্যর্থতা পরবর্তী সময়ে সাংঘাতিক ভুলের জন্ম দেয়।


সৌদি আরবের বিষয়টি বিবেচনা করা যাক। শুরু থেকেই এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ ছাড়া সৌদি আরবের বিকল্প ছিল না। দেশটির শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘আমরা এটা স্বীকার করে নিতে পারি না যে এই যুদ্ধ ইরাকের ঐক্য ও সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে হুমকি তৈরি করছে।’


সৌদি আরব তাদের বিমানঘাঁটি  যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক বদলে যেতে শুরু করে। ধীরে হলেও সুনিশ্চিতভাবেই সৌদি আরব চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে থাকে।  


ইয়েমেনে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত গেরাল্ড ফেয়ারস্টেইর বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র যেটাকে ‘পরাশক্তির প্রতিযোগিতা’ বলে, তাতে নিজেদের জড়িয়ে না ফেলার ওপর জোর দিচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি আরব তাদের স্বার্থের জায়গাটি পরিষ্কার করেছে। তারা তাদের প্রধান নিরাপত্তা অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার চীন এবং ওপেকপ্লাসে তাদের মূল সঙ্গী রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে মনোযোগ দিচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও