কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ধামরাইয়ে ট্রমা সেন্টার কত দিন পড়ে থাকবে

প্রথম আলো ধামরাই সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৩

স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের বড় একটি অংশ হচ্ছে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ। দুঃখজনক হচ্ছে, এ রকম বহু অবকাঠামো বা ভবন নির্মাণ হয়ে যাওয়ার পরও দিনের পর দিন পড়ে আছে।


যে উদ্দেশ্যে সেগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, তা পূরণ হওয়া দূরের কথা, ভবনগুলোরই নষ্ট হয়ে যাওয়ার দশা। তার বড় একটি নমুনা হতে পারে ঢাকার ধামরাইয়ের ট্রমা সেন্টার ভবনটি।


নির্মিত হয়ে যাওয়ার পরও ১১ বছর ধরে সেটি পড়ে আছে। সেটি কোনোভাবে ভাবা যায়! অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবে সেটিই ঘটেছে। ট্রমা সেন্টারটি এত বছরেও ধামরাই ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।


প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ২০০৮ সালের মার্চে তিনতলাবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় নির্মাণ ব্যয় ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০১২ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেটি চালু হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। আরও কিছু অসমাপ্ত কাজ থেকে যায়।


এরপরও ভবনটি হস্তান্তর ও চালুর জন্য এক দপ্তর আরেক দপ্তরকে চিঠি দেওয়া বা অনুরোধ করা, ভবনটি যাচাই-বাছাই করতে কমিটি করা, প্রতিবেদন দেওয়া—এসব করতে করতে বছরের পর বছর পার করে দিয়েছে। আমলাতান্ত্রিক এসব অহেতুক জটিলতার ফাঁদে পড়ে ট্রমা সেন্টারটি আর চালুই করা গেল না।


প্রতিষ্ঠানটি চালু না হলেও ভবনের রক্ষণাবেক্ষণও করা হয়নি। ফলে ওই ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ার পাশাপাশি জানালা ও লোহার গেটগুলোতে ধরেছে মরিচা। ভবনের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে লতাপাতা গজিয়েছে। ছাদে বেড়ে উঠেছে চারা বটগাছ।


ভবনের দ্বিতীয় তলার কার্নিশে পাঁচটি এসির আউটডোরের ওপর জমে আছে ধুলাবালু। সন্ধ্যা হলেই ভবনের পেছনের অংশে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। সেটিই কি হওয়ার কথা ছিল না? একটি ভবন নির্মিত হলো, সেটি আর চালু হলো না, রক্ষণাবেক্ষণও হলো না—এর জন্য সংশ্লিষ্ট ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দায় নিতে হবে না? আসলে দায় নিতে হবে না বলেই, জবাবদিহি প্রদর্শনের সংস্কৃতি এ দেশে নেই বলেই এসব ঘটনা আমাদের দেখতে হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও