গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইন হলে যা করবেন
সন্তান জন্মদান সহজ কোনো বিষয় নয়। গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যা হবু মা ছাড়া কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। এই সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের ওপরেই প্রভাব পড়ে। নানা সমস্যার পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইন একটি সাধারণ সমস্যা। গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাস থেকে এই সমস্যা শুরু হতে পারে। বিশেষত ঘুমানোর সময় এটি বেশি হয়ে থাকে। যা ঘুমের ওপরেও প্রভাব ফেলে। তবে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই এটি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গর্ভাবস্থায় ব্যাক পেইন হলে কী করবেন-
ভারী জিনিস তুলবেন না
চিকিৎসকেরা গর্ভবতী অবস্থায় ভারী কোনো জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকতে বলেন। এর প্রধান কারণ হতে পারে পেশীতে টান পড়া। যার ফলে ব্যথা হতে পারে। সময়ের সঙ্গে কমে না বরং বাড়তেই থাকে। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই অবস্থায় ভারী কোনো জিনিস তোলা যাবে না।
প্রেগন্যান্সি বেল্ট ব্যবহার করুন
এসময় প্রেগন্যান্সি বেল্ট ব্যবহার করা ভালো। এটি শরীরের উপরের অংশ এবং পেটের পেশীগুলোকে সাপোর্ট দেয়। প্রেগন্যান্সি বেল্ট মেরুদণ্ডকে সোজা রাখে এবং ব্যথা প্রতিহত করে। তাই প্রেগন্যান্সি বেল্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
হিল পরবেন না
সবার উচিত গর্ভাবস্থায় হিল না পরা। এই সময়ে নরম জুতা ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। কম উচ্চতার জুতা পরাই ভালো। গর্ভাবস্থায় হিল পরলে তা কেবল ঝুঁকিই বাড়ায় না, এর ফলে পেশিতেও অনেক টান পড়ে। যার ফলে ব্যাক পেইন হতে পারে। তাই এসময় হিল পরা থেকে বিরত থাকুন।
পিঠে আইস বা হিটিং প্যাড রাখুন
যদি ব্যথা অসহনীয় হয়, তবে পেশীগুলোকে প্রশমিত করতে আইস বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। এটি সাময়িকভাবে আপনাকে আরাম দেবে। কিন্তু পুরোপুরিভাবে ঠিক করে তুলবে না। ব্যথা অসহনীয় হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
পিঠে মালিশ
ব্যাক পেইন হলে হালকাভাবে মালিশ নিতে পারেন। এটি আপনার পেশিগুলোকে প্রশমিত করে আরাম দেবে। তবে ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো। কারণ গর্ভাবস্থায় কোনো ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- গর্ভাবস্থা
- লোয়ার ব্যাক পেইন