রফতানি বাড়াতে গিয়ে বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর হলো কীভাবে?
দুটো খবরের কাগজের দুটো খবর। একটি আমদানির ওপর, অন্যটি রফতানির ওপর। বলা বাহুল্য, রফতানি ও আমদানি অর্থনীতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আবার মিডিয়ারও প্রিয় বিষয়। প্রায় প্রতিদিনই এ দুটির ওপর খবর প্রকাশ হয়। লাখে নয়, কোটিতে নয়; হিসাব হয় ‘বিলিয়নে’। যে দুটি খবরের কথা বললাম তার একটির শিরোনাম ‘বাজারে এখন দেশী ফলের দাপট’। অন্যটির শিরোনাম ‘শরীয়তপুরের লাউ গেল সুইজারল্যান্ডে’।
দুটি খবরের বা ঘটনার ব্যাখ্যা নানাভাবে হতে পারে, হবেও। তবে দুটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আমাদের কৃষির জন্য। একটি খবরে দেখা যাচ্ছে বিদেশী ফল, যথা আপেল, আঙুর, বেদানা, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি ফলের দাম অসম্ভব হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশীয় ফলের চাহিদা বেড়েছে। কুল, কলা, আনারস, পেঁপে, বেল, সফেদা ইত্যাদি ফলের কদর বেড়েছে; চাহিদা বেড়েছে। ‘ঠেলার নাম নাকি বাবাজি!’ ঠেলা মানে মূল্যবৃদ্ধি। বিদেশী ফলের দাম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানি হ্রাসের ফলে বেশ বেড়েছে। এখন এসবের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। আগে এসব ফল রোগীদের জন্য নির্ধারিত ছিল। আমরা ছোটবেলায় তা-ই দেখেছি। স্বাধীন বাংলায় ধীরে ধীরে বিদেশী ফলের চাহিদা বাড়ে। এর সম্পর্ক হয়তো ক্রয়ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। এখন ক্রয়ক্ষমতা কম, দাম বেশি; অতএব বিদেশী ফলের কদর কমেছে বা কমছে। এটা কি ভালো লক্ষণ?