৫ গোপন কথা: বিয়ের আগে স্ত্রীর সম্পর্কে না জানলে বিপদে পড়তে পারেন
বিবাহ জীবনের অন্যতম বড় একটি সিদ্ধান্ত। আর সিদ্ধান্তটি এমনই, যেখানে নিজেকে ছাড়াও জড়িয়ে থাকে আরও এক জনের জীবন। কাজেই বিয়ের সিদ্ধান্ত যদি নিয়েই ফেলেন, তা হলে সম্ভাব্য জীবনসঙ্গীর ভালমন্দের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা না রাখলেই নয়। যদি সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়, তবে বিয়ের আগে আলাপচারিতার সুযোগ কম মেলে। যাঁরা দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদেরও মাথায় রাখা প্রয়োজন যে, বিয়ের আগে ও পরের সম্পর্কের ব্যাকরণে অনেকটা ফারাক থাকে। জেনে নিন, বিয়ের আগে কোন কথোপকথন আবশ্যিক।
১) বিয়ের আগে আলোচনা করুন সঙ্গীর অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে। দাম্পত্য জীবনে পরস্পরের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর্থিক অবস্থা ভাল হোক বা মন্দ, দু’জনে কী ভাবে এগোতে চান, তা বিয়ের আগেই আলোচনা করে নেওয়া ভাল। বিয়ের পর স্ত্রী উপার্জন করতে চান কি না, তা নিয়ে কথা বলুন। আপনার বাড়িতে কোনও সমস্যা থাকলে তা নিয়ে হবু স্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করুন।
২) বিবাহ মানেই সন্তান! সমাজ এগোলেও অনেকেই এই পুরনো ধারণাতেই বিশ্বাসী। কাজেই সন্তানধারণ নিয়ে ভাবি জীবনসঙ্গীর কী মতামত, তা আগে থেতেই জেনে নিন। অসম্মতি থাকলে আলোচনা করুন। অনেক ক্ষেত্রে চাইলেও সন্তানধারণে সক্ষম হন না অনেক দম্পতি, সে ক্ষেত্রে কী করণীয় হতে পারে, আলোচনা করুন তা নিয়েও। বিয়ের আগে কিছু রক্তপরীক্ষা করানো জরুরি। বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে এই পরীক্ষাগুলি করানোর প্যাকেজ থাকে। এই পরীক্ষা দু’জনের স্বাস্থ্য ও আপনাদের জীবনে খুদে সদস্য এলে ওর স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই পরীক্ষাগুলিও বিয়ের আগে করিয়ে নেওয়া জরুরি।
৩) বিয়ে যৌনতায় সম্মতির চিহ্ন নয়। কাজেই যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করা অবশ্যই উচিত। যদি বিবাহের আগে যৌনতার অভিজ্ঞতা না থাকে, তা হলে তো এই আলোচনা অবশ্যই প্রয়োজন। বিয়ের আগে অনেকেই যৌনজীবন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে লজ্জাবোধ করেন। তবে যৌনতা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা কিন্তু বিয়ের আগেও জরুরি। সুস্থ যৌনজীবন সুস্থ দাম্পত্যের চাবিকাঠি। কাজেই সঙ্কোচের বিহ্বলতা ঝেড়ে ফেলে স্পষ্ট ভাবে কথা বলুন।
৪) বিয়েতে অনেক ক্ষেত্রেই দু’জন মানুষ ছাড়াও জড়িয়ে থাকে দু’টি পরিবার। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে দু’জনের কেমন রসায়ন, তা-ও আগে থেকে জেনে নেওয়া ভাল। সঙ্গীর পরিবার নিয়ে মনে কোনও রকম সমস্যা হলে সে বিষয় আগেই কথা সেরে নিন। না হলে এই ছোট সমস্যাও বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।
৫) বিয়ের আগে অবশ্যই কথা বলুন পরস্পরের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে। এখনকার দিনে অনেকেই হীনম্মন্যতা বা মানসিক অবসাদ ভোগেন। অনেককে এই কারণের জন্য মনোবিদেরও সাহায্য নিতে হয়। আপনার এমন কোনও সমস্যা থাকলে সঙ্গীকে আগে থেকেই খুলে বলুন। আর সঙ্গীও এই প্রকার কোনও সমস্যায় ভুগছেন কিনা, তা জেনে নিন। সঙ্গীর নিরাপত্তাহীনতা বা মানসিক অবসাদে নিজের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে সম্যক ধারণা থাকলে কমে দাম্পত্য কলহের আশঙ্কা।