কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ বদিউজ্জামান এখন ফ্রিল্যান্সার, মাসে আয় ২ লাখ টাকা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৭:০৭

বদিউজ্জামান একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার (মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ নামেও পরিচিত) পদে চাকরি করতেন। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে দেন বদিউজ্জামান, কাছের মানুষদের কাছে তিনি সুমন নামেই পরিচিত।


চাকরি ছেড়ে বেছে নিলেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। বর্তমানে বদিউজ্জামান একজন ডিজিটাল বিপণনকর্মী (মার্কেটার) এবং শীর্ষস্থানীয় এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) বিশেষজ্ঞ। তাঁর মাসিক আয় প্রায় দুই লাখ টাকা। জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় বসেই ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন বদিউজ্জামান। গতকাল শনিবার মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।


বদিউজ্জামানের জন্ম টাঙ্গাইলের একটি গ্রামে। যেখানে এখনো ইন্টারনেট সংযোগ যায়নি। ভাদুরীর চর নামের গোপালপুর উপজেলার সেই প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হবে। তবে সেটা হয়নি। ২০০৯ সালে ময়মনসিংহের সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে হিসাবরক্ষণে স্নাতক হয়ে একই কলেজে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন বদিউজ্জামান। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সালে বদিউজ্জামান একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিতে বিক্রয় প্রতিনিধি (মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার) হিসেবে যোগ দেন। ছয় বছর এই চাকরি করার পর ২০১৮ সালের শেষ দিকে ফেসবুক থেকে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং অর্থাৎ আউটসোর্সিং সম্পর্কে জানতে পারেন। শুরু হয় নতুন কিছু করার স্বপ্ন দেখা।


ময়মনসিংহে কোথায় ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন বিষয় শেখা যায়, তা খুঁজতে থাকেন বদিউজ্জামান। খুঁজে পেলেন নকরেক আইটি ইনস্টিটিউট। সেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিকস ডিজাইন এবং সেই সঙ্গে অন্যান্য কোর্স শেখানো হয়।


এরপর বদিউজ্জামান নকরেক আইটি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠতা সুবীর নকরেকের সঙ্গে কথা বলেন। এক সহকর্মীসহ বদিউজ্জামান এখানে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে ভতি হন। সেই থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শেখা শুরু হয় বদিউজ্জামানের।


একদিকে চাকরি আর একদিকে ফ্রিল্যান্সিং—চাপে পড়তে হয় বদিউজ্জামানকে। তিনি বলেন, ‘যদি অফিস জানতে পারে যে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করি, তাহলে চাকরিটাই যাবে। তাই অফিসের কাজ সারা দিন ঠিকঠাক করে রাতে এসে ফ্রিল্যান্সিং করতাম।’
বদিউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিজেকেই বিশ্বাস করাতে শুরু করলাম যে তথ্যপ্রযুক্তির আউটসোর্সিং খাতে ভালো কিছু করতে হবে আমাকে। যদিও প্রথম দিকে কাজ শেখা এবং কাজ বুঝে করাটা আমার জন্য অনেক কষ্টেরই ছিল। আমি বরাবরই পেছনের সারির ছাত্র ছিলাম। যে ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতাম সেখানে আসলে ভবিষ্যৎ কি—তা বুঝতেই পারতাম না। হতাশার মধ্যেই চাকরিটা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।’ কারণ, সকাল নয়টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করতে হতো বদিউজ্জামানকে। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিয়তায় ভুগতেন। চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখতে থাকেন।


বদিউজ্জামান বলেন, ‘২০১৯ সালের পুরোটাই দিনরাত পরিশ্রম করার পর অনলাইন মার্কেটপ্লেস (আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়া–নেওয়ার অনলাইন বাজার) থেকে প্রথমে ১০ ডলারের একটি অর্ডার পাই। এরপর থেকেই একের পর এক কাজ পেতে থাকি। ২০২০ সালে অফিস জানতে পারে, আমি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করছি। তখন বিষয়টি একটু সামাল দিলেও ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বদিউজ্জামান চাকরি ছেড়ে দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও