
রোজার পাঁচ পণ্য নিয়ে ‘খেলছেন’ ব্যবসায়ীরা
রমজান এলেই কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। খেজুর, ছোলা, চিনি, তেল ও পেঁয়াজের মতো পণ্যের মূল্য অসহনীয় হয়ে ওঠে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অসাধু ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন এসব পণ্যের দাম।
বাজার-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট, পণ্য আমদানি বন্ধসহ নানা অজুহাতে রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা পণ্যগুলোর দাম কয়েক দফায় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোজার আগে দাম আরও বাড়তে পারে— এমন কৌশলও গ্রহণ করেছে তারা। এদিকে, বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। এখনই এই অবস্থা, রমজানে কী হবে— সেই চিন্তায় দিশেহারা তারা।
সরকার বলছে, পুরো রমজান মাসে যে পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন দেশে বর্তমানে তার চেয়ে বেশি পণ্য মজুত আছে। শুধু তা-ই নয়, রোজার পণ্য আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি করতে বিশেষ সুবিধাও দিয়েছে।
তাহলে কেন বাড়ছে এসব পণ্যের দাম? ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ বলছে, পরিকল্পিতভাবে কারসাজির মাধ্যমে বাড়ানো হচ্ছে দাম। কারসাজির অংশ হিসেবে তারা বলছেন, পণ্য আমদানিতে খরচ বেড়েছে, তাই দাম বাড়তি। আরেক পক্ষ বলছে, ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। সময় মতো আমদানি করতে না পারায় পণ্যের সংকট আছে, তাই দাম বাড়ছে।
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় খেজুরের দাম এবার দ্বিগুণ হয়েছে। কিছুদিন আগে কেজিতে ছোলার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। নতুন করে আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে এ পণ্যের দাম। ইতোমধ্যে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। আবারও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সয়াবিন তেলের পর এখন পাম অয়েলের দামও বাড়ানো হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, নিয়ন্ত্রণে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়েও ‘কারসাজি’র পরিকল্পনা করছেন কিছু ব্যবসায়ী।