কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একটি ভাষণই পরাধীন জাতিকে অমূল্য স্বাধীনতা এনে দেয়

জাগো নিউজ ২৪ মোনায়েম সরকার প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৫

পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হয়েছে । তারা অনেক ভাষণও দিয়েছেন। সব নেতা যেমন নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য দেশের মানুষের কাছেও প্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি, তেমনি সব নেতার কোনো একটি ভাষণও পৃথিবীজোড়া খ্যাতি পায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম লিংকনের নাম শোনেননি এমন রাজনীতি সচেতন মানুষ কি পৃথিবীর কোনো প্রান্তে আছেন?


আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণও তেমনি পৃথিবী বিখ্যাত হয়ে আছে। আমরা বাঙালিরা, বাংলাদেশের মানুষেরাও অহংকার করে বলতে পারি, আমাদেরও এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি দুনিয়া জুড়েই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন এবং কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো যার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ একটি ভাষণ দিয়েছিলেন, যে ভাষণ আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে।


বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণটি যেমন ছিল উদ্দীপিত ও উদ্দীপনামূলক, তেমনি ছিল দিকনির্দেশনামূলকও। একটি বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাকে ওই ভাষণ দিতে হয়েছিল। ভাষণে একদিকে ছিল জাতির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে স্বাধীনতার মন্ত্রণা, আবার কেউ যেন তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে না পারে সেদিকে নজর রেখে ভারসাম্যপূর্ণ ও সুচিন্তিত শব্দ চয়ন।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (১৯২০-১৯৭৫) স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। তার জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো কি না বলা মুশকিল। তিনি মানুষের মধ্যে থেকে ওঠে আসা একজন নেতা। তিনি সারাজীবন লড়েছেন বঞ্চনা-বৈষম্যের বিরুদ্ধে। পরাধীন বাঙালি জাতিকে তিনিই দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বপ্ন। শুধু স্বপ্নই দেখাননি, সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে বিশ্বসভায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন অসংখ্য ভাষণ দিয়েছেন। কিন্তু যে ভাষণ দিয়ে তিনি নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, সেই ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে।


বলা হয়ে থাকে, ৭ মার্চের ভাষণদানকালে রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষ লোক উপস্থিত হয়েছিল। মাত্র আঠারো মিনিটের জ্বালাময়ী ভাষণ শুধু সেদিনের মুক্তিপাগল মানুষকেই মুক্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করেনিÑ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া সামরিক কর্তা মেজর জিয়া, মেজর শফিউল্লাহসহ সবাই স্বীকার করেছেন যে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল তাদের কাছে স্বাধীনতার গ্রিন সিগন্যাল। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু একাত্তরের প্রেরণা ছিল না পরবর্তীকালে নতুন প্রজন্মকেও দারুণভাবে নাড়া দেয়। এখনও তার ভাষণ তরুণ প্রজন্মকে শৃঙ্খল ভাঙার প্রেরণা জোগায়।


এ প্রসঙ্গে আমার দুটি ঘটনার কথা মনে পড়ে। প্রয়াত জাসদ নেতা মঈনুদ্দিন খান বাদলের ছেলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে এতটাই আবেগতাড়িত হয়ে গিয়েছিল যে, সে তার বাবাকে (মঈনুদ্দিন খান বাদল) বলেছিল, ‘বাবা তোমরা কি এই লোকটার বিরুদ্ধে গিয়ে নতুন দল জাসদ করেছিলে? আই হেট টু টক টু ইউ ফাদার’- এ কথার সত্যতা জানার জন্য আমি বাদলের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ঘটনাটা সত্য। প্রয়াত সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তের লেখায়ও এই ঘটনাটি পড়েছিলাম।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও