কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


পাট দিবসের সরকারি প্রচারে এ কোন গাছের পাতা

এক সময় বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল পাট; তাই একে বলা হয় ‘সোনালি আঁশ’; পাটের সেই দিন ফেরানোর লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় পাট দিবসের প্রচারে যে পাতার ছবি দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই পাতাকে ‘এক ধরনের পাট পাতা’ বলে দাবি করা হলেও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দুজন গবেষক তা নাকচ করেছেন।

পাটের জিন বিন্যাস আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেছেন, এটা কোনোভাবেই পাট পাতা নয়।

পাটের সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে এই বছর থেকে ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস পালন হয়। প্রথম দিবসের স্লোগান ঠিক হয়েছে- ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ/পাট পণ্যের বাংলাদেশ’।

দিবস পালনের দিন সোমবার রাজধানীর বিজয় সরণী মোড়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সৌজন্যে ফেস্টুন চোখে পড়ে। তাতে পাটজাত পণ্যের সঙ্গে রয়েছে সবুজ পাতার ছবি।

সেখানে খাঁজ কাটা সবুজ পাতা দেখে পথচারীদের অনেকেই এটা পাট পাতা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। কয়েকজন পথচারী মন্তব্য করেন, এটা পাটের পাতা না কি গাঁজা গাছের পাতা?

এটা আসলে কী পাতা, তা নিশ্চিত হতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রথমে কথা বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্লান্ট টেক্সনমিস্ট ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে।

তিনি ছবির পাতাটি দেখে বলেন, এটা পাট পাতা নয়। এটা ভিন্ন জাতীয় কোনো উদ্ভিদের পাতা।

“পাটের পাতা সরল ও একক; আঙ্গুলের মতো এমন ছেঁড়া ছেঁড়া নয়। এ দুই ধরনের পাটের পাতার কোনোটাই এ ছবিতে ব্যবহার করা হয়নি।”

ড. জসীম জানান, দেশে প্রধানত দুটি প্রজাতির পাটের চাষ হয়। এর মধ্যে একটির পাতা মিষ্টি, আরেকটার পাতা তিতা। সাধারণ মানুষের কাছে দেশি ও তোষা এই দুই ধরনের পাট পরিচিত।

পাট নিয়ে নানা গবেষণা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, পাট ছাড়া অন্যান্য প্রজাতির উদ্ভিদ থেকেও তন্তু পাওয়া যায়। তবে তা পাট নয়।

পাট দিবসের মতো অনুষ্ঠানে এমন ছবি ব্যবহার মানুষকে ‘বিভ্রান্ত করবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পাট দেশের সম্পদ, সোনালি আঁশ দেশের ঐতিহ্য, গর্বের পণ্য। এটা সবার কাছে এটা পরিচিত।

“মানুষের চেনাজানা সোনালি আঁশ নিয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর পোস্টার সরিয়ে নেওয়া ভালো। মানুষ পাটের পরিবর্তে অন্য কিছু চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।”

“আমরা বরাবরই বলি, উদ্ভিদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে প্লান্ট টেক্সনমিস্টদের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। যে কোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এক্সপার্ট পার্সনদের সঙ্গে আলোচনা করলে বাস্তবসম্মত কাজ হয়, এ ধরনের ভুল এড়ানো যায়,” বলেন এই শিক্ষক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন