কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা করে গ্রেপ্তার: পাঁচ খেলোয়াড়কে জামিন দিয়েছেন আদালত

www.ajkerpatrika.com রাজশাহী প্রকাশিত: ০৬ মার্চ ২০২৩, ১৯:০১

পুলিশকে পেটানোর মামলায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসে অংশ নেওয়া ১১ খেলোয়াড়ের ৫ জনকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান এই আদেশ দেন। আদালত এই পাঁচ খেলোয়াড়কে পুলিশের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। জামিন পাওয়া পাঁচজনের মধ্যে চারজন মেয়ে ও একজন ছেলে। বাকি ৬ খেলোয়াড় ও কোচ বর্তমানে কারাগারে আছেন।


আদালত বলেন, জামিনে থাকাকালীন সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা তাঁদের দিকে খেয়াল রাখবেন। তাঁকেও খেলোয়াড়দের আচরণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।


আজ সকালে ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী পাঁচ খেলোয়াড় রাজশাহীর আদালতে জামিন নিতে গিয়ে ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বর্ণনা দেয়। তারা জানায়, ট্রেনে হারানো ব্যাগ খুঁজতে গেলে পুলিশ সদস্য গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ধাক্কা লাগে এক নারী খেলোয়াড়ের। এ সময় ওই খেলোয়াড়কে চড় মারেন কিবরিয়া। তাঁকে থামতে বলায় জামার কলার ধরে চড় মারেন আরেক পুরুষ খেলোয়াড়কে। তাঁর এমন আচরণ দেখে খেলোয়াড়েরাও তাঁকে মারেন। এতে তাঁর নাক ফেটে যায়। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।


এদিকে আজ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে খেলোয়াড়েরা বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।


গ্রেপ্তার ১১ খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনজন ছেলে ও আটজন মেয়ে। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি। তাঁরা হলেন আলী আজম (১৯), আকাশ আলী মোহন (২০), রিমি খানম (১৯), পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), মোছা. দিপালী (১৯) ও সাবরিনা আক্তার (১৯)। অন্য পাঁচজনের বয়স ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। গ্রেপ্তার কোচের নাম আহসান কবীর (৪৫)।


শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস শেষ করে গতকাল ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসেন ২২ জন খেলোয়াড়। দুপুরে স্টেশনে নামার সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কর্মরত পুলিশ সদস্য গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়। এরপর রাজশাহী রেলওয়ে থানা-পুলিশ দুই পক্ষকেই স্টেশন থেকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে একজন কোচ ও ১২ জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়া। তাঁদের মধ্যে একজন খেলোয়াড় ছাড়া সবাইকে থানায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই তাঁদের রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও