কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চাপে পড়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে কেন

ডেইলি স্টার আমীন আল রশীদ প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ২০:৩০

'সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য পশ্চিমাদের চাপ এবং দেশের অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে পারে সরকার। এজন্য আগামী এপ্রিলের কোনো এক সময় বিএনপিকে আলোচনার টেবিলে আনার উদ্যোগ নেবে আওয়ামী লীগ।' (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)


প্রশ্ন হলো, চাপে পড়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে হবে কেন? নির্বাচন মানেই তো সেটি অংশগ্রহণমূলক হতে হয়। যেটি অংশগ্রহণমূলক নয়; যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জিতে যান, সেটিকে আদৌ নির্বাচন বলা হবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন। কারণ নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমাদের দেশের জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকার এমনকি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে—যা প্রকারান্তরে গণতন্ত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।


বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে আছে গণতন্ত্র। আর গণতন্ত্রের মূল কথাই হলো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদল। যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একই দল বার বার ক্ষমতায় আসে, সেটিও অগণতান্ত্রিক নয়। কিন্তু ভোট যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো যদি ভোটে অংশ না নেয় এবং সেই ভোট যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণও হয়, তারপরও সেটিকে ভালো নির্বাচন বলার সুযোগ নেই।


অনেক সময় বলা হয়, বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের তরফে এরকম কথা বহুবার বলা হয়েছে যে, কেউ যদি (বিশেষত বিএনপি) নির্বাচনে আসতে না চায়, সেটি তাদের ব্যাপার। তাদেরকে জোর করা হবে না। কিন্তু কোনো একটি বড় দল কেন নির্বাচন বর্জন করে বা ভোটে অংশ নিতে চায় না—সেটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্ন। অর্থাৎ নির্বাচনটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে সব দল যদি আশ্বস্ত না হয়, তখনই ভোট বর্জনের প্রশ্ন ওঠে। তখনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অর্ধেকের বেশি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে (দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)—যা কোনোভাবেই গণতন্ত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তা ছাড়া এই ধরনের নির্বাচন বা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়, দেশের ভেতরে এবং বাইরে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। তারা যতই জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে দেশ পরিচালনা করুক কিংবা তাদের আমলে যতই উন্নয়ন হোক না কেন, যেহেতু দেশের সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্রকে গ্রহণ করা হয়েছে, অতএব সেই গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো নির্বাচন হলে সেটি ক্ষমতাসীন দলের জন্য কোনো সম্মান বয়ে আনে না।


মনে রাখা দরকার, নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন মূলত 'সিলেকশন'। প্রশ্ন উঠতে পারে, কোনো পদে একাধিক প্রার্থী না থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা যেহেতু অসাংবিধানিক বা বেআইনি নয়, সুতরাং কেন একে নির্বাচন বলা যাবে না? এই যুক্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কাউকে অবৈধ বলার সুযোগ নেই এটা যেমন সত্য, তেমনি কেন একটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকেন না—সেই প্রশ্ন তোলাও সঙ্গত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কেন এই প্রবণতা বেড়েছে—তারও নির্মোহ বিশ্লেষণ জরুরি। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা-সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধানপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল দিয়েছিলেন। (প্রথম আলো, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও