কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


ছাত্ররাজনীতিতে কিছু নেতিবাচক উপাদান প্রবেশ করেছে

সাদ্দাম হোসেন বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এজিএস। সম্প্রতি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের পরিচয়ধারীদের বেপরোয়া আচার-আচরণ মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রলীগ এখন আতঙ্কের নাম। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের সভাপতি আজকের পত্রিকার মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কেন? আপনার কি মনে হয় এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই? 

সাদ্দাম হোসেন: ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কোথাও কোনো অন্যায় হচ্ছে না, সেটা আমি বলব না। তবে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ঢালাও প্রচারণা গণমাধ্যমে বেশি হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও ভরসার সংগঠন হলো ছাত্রলীগ। অতীতের উজ্জ্বল ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমান দেশীয় ও পরিবর্তনশীল বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছাত্ররাজনীতিতে নতুন ধারা অন্তর্ভুক্ত করার মতো রাজনৈতিক সক্ষমতা ছাত্রলীগের রয়েছে। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে র‍্যাগিং, বুলিং, টিজিং, যৌন নির্যাতনমুক্ত করার কাজে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরি সফল 
হতে পারিনি।

ছাত্রলীগ যেমন শিকড়ের সন্ধান করতে জানে, তেমনি নতুন দিনের পথ দেখাতেও জানে। ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও স্বপ্নের প্রাণকেন্দ্রে থাকে। মৌলবাদ, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করে এমন বিষয়, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত করার ঘটনা প্রতিরোধে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার ভূমিকা সব সময় পালন করে আসছে।

সুস্থ ধারার ছাত্ররাজনীতি করার অঙ্গীকার আমাদের যে রয়েছে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ যেকোনো ধরনের অন্যায়-অপকর্মের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের জিরো টলারেন্স নীতি। কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত করে অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। যাঁরা সংগঠনবিরোধী বা সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়—এমন সব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হন, তাঁদের জন্য ছাত্রলীগের দুয়ার বন্ধ।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘দখলবাজি আর চাঁদাবাজির কারণে ছাত্ররাজনীতিকে এখন আর মানুষ আগের মতো সম্মানের চোখে না দেখে নেতিবাচকভাবে দেখে।’ আপনি কী মনে করেন?   

সাদ্দাম হোসেন: ছাত্ররাজনীতিতে কিছু নেতিবাচক উপাদান প্রবেশ করেছে, এটা সত্যি। আমাদের দেশে সামরিক শাসনামলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ পরিবর্তন করে ছাত্রসংগঠনের যে স্বকীয়, স্বাতন্ত্র্য চরিত্র এবং সাংগঠনিক স্বাধীনতা ছিল, সেসব ক্ষুণ্ন করে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের ধারণা নিয়ে আসা হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনকে রণাঙ্গনে পরিণত করা হয়, শিক্ষার্থীদের জাতীয় রাজনীতির গিনিপিগে পরিণত করা হয়। এর প্রভাব কিন্তু এখনো ছাত্ররাজনীতিতে নেতিবাচকভাবে রয়ে গেছে। তা ছাড়া, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণেও কতগুলো ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে জবাবদিহি নেই, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অভাব, শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা নেই।

তবে ছাত্ররাজনীতির কারণেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কিছু গুণগত পরিবর্তনও লক্ষ করা যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় যে দুর্বিষহ সেশনজট ছিল, তা দূর হয়েছে। এরশাদ বা খালেদা জিয়া ভ্যাকেশনের বাস্তবতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন নেই। সেশনজটমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একটি ইতিবাচক ভূমিকা আছে। ক্যাম্পাসগুলোতে রণাঙ্গনের পরিস্থিতি তৈরি করে বন্দুকযুদ্ধের যে বাস্তবতা ছিল, সেটা থেকে মুক্ত হয়েছে। বহিরাগত সশস্ত্র ক্যাডার দ্বারা ছাত্ররাজনীতি পরিচালনা করার যে বাস্তবতা ছিল, সেটাও আর নেই। এগুলো ছাত্রলীগেরই অবদান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন