সরঞ্জাম সংকটে চরম বিপাকে হৃদরোগীরা

যুগান্তর প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:২১

ডলার সংকটে অন্যসব পণ্যের মতো হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত আমদানিনির্ভর সরঞ্জামের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য হার্টের রিং, অ্যাওটিক ভাল্ব, পেসমেকার, বেলুন ও অক্সিজেনেটর সরবরাহে টান পড়েছে। ডলারের বাড়তি দামের অজুহাতে ব্যবসায়ীরাও মূল্য বাড়িয়েছেন। চাহিদা অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না পাওয়া এবং উচ্চমূল্যের কারণে হৃদরোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।


যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যুগান্তরকে জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পাঁচ মাস ধরে এলসি (ঋণপত্র খোলা) জটিলতায় পড়তে হয়েছে। এতে হৃদরোগসহ অন্যসব চিকিৎসায় ব্যবহৃত আমদানিনির্ভর সার্জিক্যাল ডিভাইস সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়ছে। হার্টের সার্জিক্যাল পণ্যের দাম বাড়ানো এবং এলসি খোলার সহায়তা পেতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়।


এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে। ৪ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় এলসি খোলার ব্যবস্থা করে। দাম বৃদ্ধির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ১ মার্চ থেকে চিকিৎসা যন্ত্রপাতির দাম শতকরা ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে।


বাংলাদেশ মেডিকেল ডিভাইস ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপমেন্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাধিক নেতা যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খোলার অনুমতি দিয়েছে। সরঞ্জাম দেশে আসতে আরও তিন মাস সময় লাগবে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা যুগান্তরকে বলেন, দেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার প্রায় ২৭ শতাংশ। প্রতি হাজারে ১০ জন শিশু হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে। এরপরও জীবনরক্ষাকারী রিং ও পেসমেকারসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে গরিব ও মধ্যবিত্ত রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। রাজধানী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকসহ একাধিক হাসপাতাল ঘুরে হৃদরোগীদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে।


জানুয়ারির মাঝামাঝি অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আসেন পাবনার সোহাগ হোসেন। চিকিৎসকরা জানান, রোগীর হার্টে দ্রুত রিং পরাতে হবে। এনজিওগ্রামসহ এক লাখ টাকার মতো খরচ পড়বে। পেশায় রাজমিস্ত্রি সোহাগ প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে না পেরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। বৃহস্পতিবার তিনি মোবাইল ফোনে জানান, টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। তবে ১ লাখ ৮ হাজার টাকার রিং এখন ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হয়েছে বলে তিনি শুনছেন। টাকা জোগাড় না হওয়ায় ঢাকায় আসতে পারছি না। এদিকে স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও