কঠিন কাজটাই করলেন বিলি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সঙ্গে তারকাদের অম্ল-মধুর সম্পর্ক। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম যেমন তাঁদের ভক্তদের আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, তেমনি মুখোমুখি করেছে অনেক নেতিবাচক বিষয়েরও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপের শিকার হয়ে অনেক তারকাকে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে হয়েছে। গত সপ্তাহে সামাজিক মাধ্যম থেকে বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সেলেনা গোমেজ। এবার অ্যাকাউন্টই মুছে দিলেন আরেক গায়িকা বিলি আইলিশ। খবর সিএনএন
সম্প্রতি ‘কোনান ওব্রায়ান নিডস আর ফ্রেন্ড’ পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন বিলি আইলিশ। প্রচারের আগে মুক্তি পাওয়া অনুষ্ঠানের একটি চুম্বক অংশ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই বিলিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে কথা বলতে শোনা গেছে। গ্র্যামিজয়ী এই গায়িকা জানান, ফোনে থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব অ্যাপই তিনি মুছে দিয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইনস্টাগ্রামে অনিয়মিত ছিলেন বিলি। এই ঘোষণায় বোঝা গেল, সেটা ছিল নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি।
বিলি আইলিশের বয়স মোটে একুশ। তিনি বেড়েই উঠেছেন নেট দুনিয়ার ব্যাপক বিস্তারের সময়, তাঁর কাছে ইন্টারনেট, সামাজিক মাধ্যম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া তাই অনেক বড় বিষয়। শেষ পর্যন্ত কঠিন কাজটি করতে পেরেছেন বলে নিজের ওপর সন্তুষ্ট ‘হ্যাপিয়ার দ্যান এভার’ গায়িকা। নিজেকে ‘ইন্টারনেট কিড’ অভিহিত করে বিলি বলেন, ‘এমন একটা সময় আমি বেড়ে উঠেছি, যখন ইন্টারনেট ছাড়া শৈশব কল্পনাই করা যায় না। তবে সৌভাগ্যবশত আমি ইন্টারনেট থেকে যতটা সম্ভব দূরে ছিলাম। কম্পিউটার ব্যবহার, গেমস সবই করেছি, তবে কম।’
ইন্টারনেটে যাচাই–বাছাই না করেই অনেক তথ্য প্রকাশ করা হয়—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়ার এটিও বড় কারণ বলেন জানান বিলি, ‘নিজেকে নিয়ে কোন ভিডিও দেখতে গেলেই চমকে উঠি। একবার এক সিরিয়াস ভিডিও দেখলাম যেখানে আমাকে “ভয়ংকর ব্যক্তি” বলে অভিহিত করা হয়েছে। আমি এতটাই মূর্খ যে নেট দুনিয়ায় যা পড়ি, বিশ্বাস করি। পরে দেখলাম, যেসব তথ্য দেখি, তার প্রায় সবই ভুয়া। কিন্তু শুনতে শুনতে মানুষ এসবই বিশ্বাস করে।’