কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঢাকা-মস্কো বন্ধুত্বের পিচ্ছিল পথ

সমকাল ড. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৩:০০

বাংলাদেশের রূপপুরে রাশানরা যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছে সেটার মালপত্রবাহী জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়তে না পারার পরিপ্রেক্ষিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মস্কোতে যিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আছেন তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তাঁর কাছে রুশ জাহাজ ‘উরসা মেজর’কে বাংলাদেশের কোনো বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। শুরুতেই বলতে চাই, মস্কোতে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যে মিশন রয়েছে, সেখানে এখন যাঁরা কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের বিষয়টি নিয়ে আগেভাগেই তৎপর হওয়া দরকার ছিল।


যেহেতু আমেরিকা রাশিয়ার ওপর স্যাংশন বা অবরোধ দিয়েছে, তাদের পণ্যবাহী জাহাজের ওপরও এই স্যাংশন রয়েছে। তবে রাশিয়ার সব জাহাজের ওপর যেহেতু স্যাংশন দেওয়া হয়নি, তাই কোন জাহাজে স্যাংশন রয়েছে, কোন জাহাজে নেই–তাঁদের উচিত ছিল এসবের খবর নেওয়া। এ রকম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজের বিষয়ে আমাদের মিশনের পক্ষ থেকে আরও যোগাযোগ ও তদারকি হওয়ার প্রয়োজন ছিল।


রাশিয়ার কোন কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার ওপর স্যাংশন রয়েছে এসবের একটি তালিকা মস্কোর বাংলাদেশ মিশনের কাছে থাকা উচিত ছিল বলে মনে করি আমি। এক্ষেত্রে মস্কোর বাংলাদেশ মিশনে যে কিছু ঘাটতি ছিল উপর্যুক্ত ঘটনায় তা দেখা গেল। এবারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মস্কোতে আমাদের যে মিশন রয়েছে, তাঁরা আরও তৎপর হবেন, এটা আশা করা যায়। বিশেষ করে, বিশ্বে এখন এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিষয়গুলো আরও কঠিন হয়ে আসবে আগামী দিনগুলোতে।


আবার এই বিষয়গুলো আমেরিকাকেও বুঝতে হবে, আমাদেরও তাদের বুঝাতে হবে, এই ঘটনায় আমেরিকার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে। সেটা আমেরিকা কেন চাইবে! এই যুদ্ধটা আমরা এখন দেখছি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার। সে যুদ্ধের ফলস্বরূপ আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জন্য রাশিয়ার জাহাজ বাংলাদেশে ভিড়ল না, সেটি মালপত্র খালাস না করে আবার রাশিয়ায় ফিরে গেল। এর ফলে বৃথা সময় ব্যয় হলো। বাড়তি খরচ হলো।


অনেকেই একটা বিষয় বুঝতে পারছেন না সেটি হলো, বাংলাদেশের উৎপাদনের বাজার কিন্তু আমেরিকা। এখানে যত বেশি সময় লাগবে, তত পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যয় বাড়বে; এর প্রভাব পড়বে বাজারে। এখন যে দামে পণ্য দেওয়া যায়, এভাবে বিলম্বিত হতে থাকলে ব্যয় বেড়ে গেলে একটা পর্যায়ে সেই দামে আর দেওয়া যাবে না। এসব জেনেশুনে আমেরিকা এমন কেন করবে– এটা তাদের বোঝাতে হবে। কারণ, আমেরিকার সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্য সেটি একেবারেই ধনতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে একটি বাণিজ্য নীতি মেনে করা হয়।


অন্য কথায়, এখানে যে রপ্তানিকারক এবং এখানে আমেরিকার যে বিনিয়োগকারী সবাই কিন্তু লাভ করার জন্যই আসেন। যদি তৈরি পোশাক খাতের কথাই বলি, আমেরিকার যে ব্যবসায়ীরা এগুলো আমদানি করেন, তাঁদেরই কিন্তু মুনাফার পরিমাণ বেশি। সেভাবে বলা যায়, আমেরিকার জনসাধারণও এই লাভের অংশীদার। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অস্বীকার করা যাবে না, এখানকার জ্বালানিশক্তির যদি দাম বাড়ানো হয়, তাহলে এর একটি প্রভাব আমেরিকান ব্যবসায়ীদের ওপরও পড়বে। একটা সময়ে গিয়ে আমেরিকান ভোক্তাদের ওপরও এই প্রভাব পড়বে। তাই আমেরিকাকে এই বিষয়টি বোঝানো উচিত, এহেন স্যাংশনের মাধ্যমে তাদের অর্থনীতির ওপরই কিন্তু প্রভাব পড়ছে। আজকে না হয়, কালকে– এই প্রভাব পড়বেই।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও