দেশের ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমতে পারে

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩১

দেশের ব্যাংক খাতের তারল্য কমে গেছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেপো হার ও আন্তব্যাংক ঋণের সুদহার। ফলে দেশের ব্যাংকগুলো চাপে আছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা মুডিস। তারা বলছে, এসব কারণে ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমে যেতে পারে।


মুডিস বলেছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের ব্যাংক খাতের তারল্য কমে গেছে। তারল্য কমায় ব্যাংকগুলোর চাহিদা বেড়েছে, সে কারণে আন্তব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো হার বৃদ্ধি করায় তারল্যে প্রভাব পড়েছে।


বিশ্লেষকেরা বলেন, ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রবাসী আয় ও বিদেশি বিনিয়োগের বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু গত বছর প্রবাসী আয়ে কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি হয়নি। একই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগও কাঙ্ক্ষিত হারে হয়নি, যদিও আগের বছর এ দুই খাতেই অনেক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এসব কারণে ব্যাংকিং খাতে তারল্যের জোগান কমে গেছে।


কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তথ্যানুসারে, ব্যাংকিং খাতে গত জানুয়ারি মাসে অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ কমেছে ৮ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। জুন মাসে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্যের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৩ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা; এরপর তা কমতে কমতে জানুয়ারিতে এসে ঠেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকায়। অক্টোবরেও যা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, নভেম্বর মাসে যা ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকায় নেমে আসে।


এই পরিস্থিতিতে মুডিস মনে করছে, নিকট ভবিষ্যতে দেশের কিছু ব্যাংকের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের ট্রেজারি বিল-বন্ড কম, তাদের এ সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা আছে। কারণ, এসব ট্রেজারি বিল-বন্ড বন্ধক রেখে ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বা তহবিল সংগ্রহ করে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো তহবিল সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে বিপদে পড়তে পারে।


তারল্য কমার কারণে ইসলামিক ব্যাংকগুলো বেশি বিপদে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মুডিস। কারণ হিসেবে তারা বলছে, এসব ব্যাংকের তারল্য অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় তাদের মুনাফা করার সক্ষমতাও কম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও